৭ মাস ক্লাস বন্ধ, এনসিসি শিক্ষক চেয়ে সড়ক অবরোধ ইসলামপুর হাইস্কুলের পড়ুয়াদের
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: বিভাগ আছে, অথচ শিক্ষক নেই। একমাত্র শিক্ষক অবসর নেওয়ার পর নতুন কেউ দায়িত্ব নিতে চাননি। এই অবস্থায় ইসলামপুর হাইস্কুলে এনসিসি বিভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সড়ক অবরোধ করল পড়ুয়ারা। সোমবার দুপুরে স্কুল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে পড়ুয়ারা একজোট হয়। সেখানে অবরোধ শুরু করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পড়ুয়াদের অবরোধ করতে দেখে শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ুয়াদের বোঝানোর চেষ্টা করে। প্রায় ২০ মিনিট পর পড়ুয়ারা অবরোধ তুলে নেয়।
স্কুল সূত্রে খবর, কয়েকমাস আগে স্কুলের এনসিসি বিভাগের শিক্ষক অবসর নেন। তার জায়গায় নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কে ক্লাস করাবেন তাও জানা নেই পড়ুয়াদের। স্কুলে হয়ত বিভাগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এমনই আশঙ্কায় ভুগছে তারা। পড়ুয়ারা শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যায়। কিন্তু পড়ুয়াদের দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষ শোনেননি বলেই অভিযোগ। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে এনসিসি বিভাগের পড়ুয়ারা প্রথমে স্কুলগেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পরে শহরের মূল সড়কের উপর বসে পড়ে ছাত্ররা। তাদের অবরোধে যান চলাচল ব্যহত হয়। এনসিসি ছাত্র নবজ্যোতি দাস বলে, প্রয় ৭ মাস থেকে আমাদের স্কুলে এনসিসির কোনও শিক্ষক বিংবা অফিসার নেই। এই পরিস্থিতিতে এনসিসি বিভাগের পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসলে কী লিখবে? স্কুল কর্তৃপক্ষ একজন শিক্ষককে ট্রেনিং নেওয়ার জন্য ব্যটালিয়নে পাঠালেই শিক্ষকের সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে কোনও শিক্ষক এনসিসি করানোর জন্য রাজি নন। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব একজন শিক্ষককে ব্যাটালিয়ানে পাঠানো। কিন্তু তিনিও সেই দায়িত্ব পালন করছেন না। এই বিষয়ে নিয়ে আমরা প্রায় একমাস থেকে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছি। কিন্তু তিনি আমাদের সময় দিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা অবরোধ করি। অন্য পড়ুয়ারাও এই বিষয়ে একমত। অবরোধের খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার আইসি হীরক বিশ্বাস ঘটনাস্থলে যান। তাঁর হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভের জেরে ছাত্রদের স্মারকলিপি নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে। প্রধান শিক্ষক সলিমুদ্দিন আহমেদ এবং জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মুরারীমোহন মণ্ডলকে বারবার ফোন করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।