• ৭০০ হেক্টর জমি ফেটে চৌচির
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ: ভরা বর্ষাতেও বৃষ্টির দেখা নেই উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকে। বৃষ্টির জন্য প্রায়ই চাতক পাখির মতো অবস্থা আমন ধান চাষিদের। বৃষ্টির অভাবে চরম সমস্যায় তারা। কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ ও রায়গঞ্জ ব্লকের প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ হলেও জলের অভাবে শুকিয়ে ফেটে চৌচির আবাদি জমি। কবে বৃষ্টি হবে, সেই আশাতেই  দিন গুনছেন কৃষকরা। কৃষি আধিকারিকরা আপাতত সেচের পরামর্শ দিচ্ছেন। 


    হেমতাবাদ ব্লকের বাঙ্গালবাড়ির কৃষক মজিবুর রহমান ১৮ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছেন। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে জমিতে ধান রোপণ করার পর মাঠের জমি ফেটে গিয়েছে। দাবদাহে ধানের চারা ঝলসে যাচ্ছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন চাষি মজিবুর। 


    হেমতাবাদের ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা যুগল গুরুং বলেন, হেমতাবাদ ব্লকে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে সরকারিভাবে কোনও প্রকল্পের ব্যবস্থা নেই। তাই কৃষকদের জমিতে পাম্পের মাধ্যমে জল সেচের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 


    কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মোস্তফা নগরের কৃষক মহম্মদ আলাউদ্দিন ৫ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছেন। কিন্তু জলের অভাবে তাঁরও ধানগাছ মরে যাচ্ছে। আলাউদ্দিন বলছেন, মাটি শুকিয়ে ফেটে গিয়েছে। জল সেচ করতে ঘণ্টা প্রতি ৫০০ টাকা খরচ হয়। টাকা খরচ করে সেচ করলে লাভই তো থাকবে না। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির অভাবে ফেটে গিয়েছে চাষের জমিও। ইতিমধ্যে একটি রিপোর্ট জেলায় পাঠানো হয়েছে বলে ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। 


    বৃষ্টির অভাবে রায়গঞ্জ ব্লকের বিরঘই, বরুয়া, কমলাবাড়ি ১, মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকাতেও সমস্যায় পড়েছেন ধানচাষিরা। এবার ৭ বিঘা জমি জুড়ে আমন ধান চাষ করেছেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা সুবোধচন্দ্র রায়। তিনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে আমন ধানের চারা লাগিয়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মাটিতে জল থাকছে না। পাম্পের মাধ্যমে জল দিয়েও খরচ অনেক হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন আমাদের সাহায্য করলে ভালো হত।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)