• ভেসেছে সাঁকো, নাগর নদী পারাপারে ভরসা রেল সেতু
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: নাগর নদী পারাপারের একমাত্র সাঁকো বর্ষায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। কিন্তু, নদী পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থাও নেই। ফলে রেল সেতু দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কেউ কেউ নৌকায় পারাপার করছেন। এই নদীতেই রায়গঞ্জ-বারসই সেতু নির্মাণের কথা। কিন্তু সেই সেতুও তৈরি না হওয়ায় গাড়ি নিয়ে ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই পরিস্থিতি নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ রায়গঞ্জের বাহিন গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। 


    বাহিনের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে নাগর নদী। এপারে রায়গঞ্জ ব্লক এবং ওপারে রয়েছে বিহার। দুই রাজ্যের মানুষকেই জীবন জীবিকার জন্য প্রতিদিন নদী পারাপার করতে হচ্ছে। সারাবছর সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করলেও বর্ষা আসতেই নদীর জল বেড়ে যায়। জলের তোড়েই সাঁকো ভেসে যায়। প্রতিবছর একই সমস্যা দেখা দিলেও সেখানে পাকা সেতু তৈরি করেনি প্রশাসন।


    ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্তারা এসে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিহার-বাংলা সংযোগকারী স্থায়ী সেতু তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। যার জেরে  প্রতিবছর বর্ষা এলেই সমস্যায় পড়তে হয় দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের। 


    রায়গঞ্জের বাসিন্দা লবচন্দ্র দাসের দোকান রয়েছে বিহারের বিঘর এলাকায়। প্রতিদিনই তাঁকে কাজের জন্য বিহারে যেতে হয়। সাঁকোতে এতদিন যাতায়াত করলেও নৌকা করেই নদী পারাপার করতে হচ্ছে। সেই নৌকায় প্রচুর লোক উঠে পড়ায় মাঝ নদীতে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। বিহারের বাসিন্দা মহম্মদ তারেক বলেন, মোটর বাইকের ব্যবসার জন্য রায়গঞ্জে যেতে হয়। নদী পারাপারে সমস্যা থাকলেও উপায় নেই। এই বর্ষায় নৌকা করেই যাতায়াত করতে হয়। অনেকে আবার নৌকা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীর উপরে রেল সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন। 


    গোটা বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী রূপকুমার দাস বলেন, প্রতিদিন দশ হাজার মানুষ এই নদী পারাপার করেন। বছরের বেশিরভাগ সময়  সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করলেও বর্ষায় নৌকাই ভরসা। তাতে জন প্রতি ১০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। সেই টাকা বাঁচাতে অনেকে রেল সেতু দিয়ে বিপজ্জনকভাবে যাতায়াত করছে। 


    দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেন, রায়গঞ্জ-বারসই সেতু নির্মাণের জন্য ৯০ শতাংশ প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বিহারের তরফ থেকে এনওসি দরকার। অর্থদপ্তর থেকে এই সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনে বিজেপি সাংসদের সঙ্গেও কথা বলব। দ্রুত সেতু নির্মাণ শুরু হবে। এ ব্যাপারে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ কার্তিকচন্দ্র পাল বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য যা যা পদক্ষেপ করার, তা আমি নেব। রায়গঞ্জ-বারসই সেতু দ্রুত নির্মাণ হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)