নিয়মিত বৃষ্টিপাতে ফলন বাড়তেই দাম কমেছে সব্জির, দাবি ব্যবসায়ীদের
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কমবেশি বৃষ্টি কিছুদিন ধরেই চলছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। এর জেরে গরমের সব্জির ফলন বেড়েছে। বাজারে জোগানও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের দাবি, পটল, ঢেঁড়শ প্রভৃতি মরশুমি সব্জির দাম কমেছে। ক্রেতারা স্বস্তি পেয়েছেন। যদিও অন্যদিকে চাষিরা সব্জির দাম কম পেয়েছেন বলে সমস্যায় পড়ছেন। রাজ্য সরকারের খাদ্য সামগ্রী সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, গ্রামের হাটে চাষিরা বেশিরভাগ সব্জির দাম এখন ১০ টাকার কম পাচ্ছেন। ওই সব সব্জি শহরের পাইকারি বাজারে এখন ২০টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। জুন মাস ও তার আগে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল। এতে সব্জির উৎপাদন ব্যাপকভাবে কম হওয়ায় দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন। পটল, ঢেঁড়শ প্রভৃতির দাম কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বেগুনের দাম ১০০ টাকা অতিক্রম করে গিয়েছিল। এখন কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অধিকাংশ খুচরো বাজারে ২৫-৩০ টাকার আশপাশে পটল-ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম ৪০-৫০ টাকায় চলে এসেছে। টোম্যাটো, বিনস, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি প্রভৃতি সব্জির দাম অবশ্য তুলনামূলকভাবে বেশি। এই সব্জিগুলি এখন ভিন রাজ্য থেকে আসছে। তাই দাম কমেনি।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেন, যে মাত্রায় বৃষ্টি হচ্ছে তা সব্জি চাষের অনুকূল। কিন্তু ধান চাষের জন্য আরও বেশি পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন। কিন্তু বেশিমাত্রায় বৃষ্টি হলে তা আবার সব্জি চাষের পক্ষে ক্ষতিকারক। সে পরিস্থিতি তৈরি হলে সব্জির দাম ফের চড়তে পারে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের কড়া ব্যবস্থার পর আলুর দাম খুচরো বাজারে কিছুটা কমেছে বলে সরকার দাবি করেছে। টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা জানান, প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করছেন তাঁরা। বেশিরভাগ খুচরো বাজারে জ্যোতি আলু ৩০-৩২ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। যদিও সাধারণ ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা হল, এখনও কোনও কোনও বাজারে ৩৪-৩৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে। চন্দ্রমুখীর দাম আরও বেশি।