বাংলা সহ ৫ রাজ্যে পাচার, অনুপ্রবেশ রুখতে পুলিস, এজেন্সি সমন্বয়ে জোর
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাচার ও অনুপ্রবেশের গল্প নতুন নয়। সোনা, জালনোট, গোরু, মাদকসহ নানা ধরনের মালপত্র পাচার হয়। বাংলাদেশ থেকে প্রায়ই ভারতে ঢোকে অনুপ্রবেশকারীরা। তাই ইস্টার্ন কমান্ডের অধীন পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয় ও মিজোরাম এই পাঁচটি রাজ্যের অনুপ্রবেশ ও পাচার নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি, এই পাঁচ রাজ্যের বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি। সেখানে বলা হয়েছে, পাচার ও অনুপ্রবেশ রুখতে পুলিস এবং সীমান্তে যুক্ত সহকারী এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় গড়ার উপর জোর দিতে হবে। বিএসএফকে ওইসঙ্গে সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গেও গড়তে হবে সুসম্পর্ক।
বিএসএফ সূত্রের খবর, বাংলাদেশে অশান্তির পরই এই পাঁচ রাজ্যের সীমান্তে হাই এলার্ট জারি করা হয়। বিএসএফ জওয়ানরা বিশেষ নজরদারিও চালাচ্ছেন। বাংলাদেশে অশান্তি নিভলেও তার আঁচ এখনও রয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ২৪ জুলাই কলকাতায় বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দপ্তরে সীমান্তের অপারেশনাল ইস্যুতে একটি বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়। ছিলেন ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি রবি গান্ধী এবং এই পাঁচ রাজ্যের বিএসএফ কর্তারা।
পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামের মোট ৩২টি জেলা সীমান্ত লাগোয়া। এই অঞ্চলের সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ৪,০৯৬ কিমি। এর মধ্যে আবার ৭৭ কিমি স্থলসীমান্ত এবং ২৩ কিমির জলসীমান্ত। বৈঠকে বাংলাদেশ সীমান্তে বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সীমান্তে নজরদারিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। দীর্ঘ আলোচনায় তারপরই গুরুত্ব পায় গোরু, মাদক প্রভৃতি বিভিন্ন পাচার ও অনুপ্রবেশ। স্থানীয় পুলিসের পাশে শুল্ক ও অভিবাসন দপ্তর এবং অন্যান্য এজেন্সির মধ্যে সমন্বয়ের উপর বিশেষ জোর দিতে বলা হয়। ওইসঙ্গে বলা হয়েছে সীমান্তের ওপারে বিজিবির সঙ্গেও সমন্বয় রাখতে।