পাট্টা পাওয়া জমির অধিকার ফিরে পেতে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে সপরিবার ধর্না
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: জমির সরকারি পাট্টা পেয়েছেন। কিন্তু সেই জমিতে পাট্টাপ্রাপকের কোনও অধিকার নেই! জমির অধিকার পেতে বিভিন্ন দপ্তরে বারবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার বদলে প্রশাসনের গালভরা আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। তাই প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে সপরিবারে ধর্নায় বসলেন দত্তপুকুর থানার ইছাপুর-নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষনগরের বাসিন্দা পবন পাল। এক্ষেত্রে সরাসরি অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের প্রাক্তন এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। পবনবাবুর বিষয়টি নিয়ে ওই অভিযুক্ত নেতার প্রতিক্রিয়া জানতে গেলে তিনি রীতিমতো চড়াও হন সংবাদমাধ্যমের উপর। দলের ওই নেতার ‘মাতব্বরি’তে ক্ষুব্ধ তৃণমূলেরই একাংশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পবন পালের বাবা কৃষ্ণপদ পাল ১৯৯১ সালে পোকাপুর মৌজায় ৫৫৭ ও ৫১৮ নং খতিয়ানে চার কাঠা জমির পাট্টা পান। রাস্তার পাশের এই জমির একাংশে বসতবাড়ি ও অন্য অংশে বাড়ি তৈরি করে সেটি দোকানঘর হিসেবে ভাড়া দেওয়া আছে। দোকানের মালিকরা ভাড়া দিতেন পাল পরিবারকে। কিন্তু কৃষ্ণপদবাবু মারা যাওয়ার পর (২০১২ সাল) থেকে তাঁরা আর ভাড়ার টাকা পাচ্ছেন না। পাট্টার জমিতে তৈরি করা বাড়িতে বসবাস করতেও পারছে না পাল পরিবার। সেই বসতবাড়ি এখন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তপন মল্লিকের নেতৃত্বে এই কাজ হয়েছে। এই অবস্থায় সোমবার সকালে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে ধর্নায় বসেন পবন। তিনি বলেন, ‘২০১২ সালের পর থেকে আমাদের জমির অধিকার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল নেতা তপন মল্লিক। আমাদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। তাই অধিকার ফিরে পেতে ধর্নায় বসেছি।’ তাঁর আরও অভিযোগ, জমির অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য তৎপর হতেই মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এখন মাথাগোঁজার ঠাঁই না থাকায় হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা তপন মল্লিক কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। উল্টে মোবাইল কেড়ে নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি মারধর পর্যন্ত করেন বলে অভিযোগ। মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ অবশ্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।