'আর কতদিন সহ্য করব?' রেল দুর্ঘটনার পর কড়া প্রতিক্রিয়া মমতার
এই সময় | ৩০ জুলাই ২০২৪
আবারও দুর্ঘটনার কবলে রেল। লাইনচ্যুত হাওড়া থেকে মুম্বইগামী সিএসএমটি এক্সপ্রেস। আর সেই ঘটনায় এবার কড়া প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুর্ঘটনার পর এক্স হ্যন্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'আরও একটি ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা! আজ ভোরে ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর ডিভিশনে লাইনচ্যুত হয়েছে হাওড়া-মুম্বই মেল। একাধিক মৃত্যু এবং বিপুল সংখ্যক আহতের মর্মান্তিক পরিণতি। আমি জিজ্ঞাসা করছি, এটাই কি শাসন? প্রায় প্রতি সপ্তাহে দুঃস্বপ্নের এই সিরিজ, রেললাইনে মৃত্যুর এই অবিরাম মিছিল, আর কতদিন আমরা এটা সহ্য করব? ভারত সরকারের উদাসীনতা কি শেষ হবে না? শোকাহত পরিবার, আত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা জানাই।'
মঙ্গলবার ভোরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া-মুম্বই মেল। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের কাছে বেলাইন হয় ট্রেনটি। চক্রধরপুর ডিভিশনের বরাবাম্বু-রাজখরসাওয়ান স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ পাশাপাশি আহত আরও বেশকিছু যাত্রী। দ্রুততার সঙ্গে চলছে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ৷
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সরায়কেলা-খরসাওয়ানের জেলা প্রশাসক রবিশঙ্কর শুক্লা। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তারা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ। আহতদের চক্রধরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেহেতু ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তাই সেই সময় অধিকাংশ যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার তীব্র ঝাঁকুনিতে ঘুম ভেঙে যায় যাত্রীদের। কয়েকজন যাত্রী বগি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। যাঁরা আটকে রয়েছেন তাঁদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
উদ্ধার কাজের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই রেলের তরফে বেশকিছু হেল্প লাইন নম্বর ও হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে হেল্প ডেস্কে যাত্রীদের পরিবারের সুবিধার্থে হেল্প ডেস্কগুলিতে মোতায়েন রয়েছেন রেলেরকর্মীরা। যে হেল্প লাইনগুলি চালু করা হয়েছে সেগুলি হল, টাটানগর - ০৬৫৭২২৯০৩২৪, চক্রধরপুর - ০৬৫৮৭২৩৮০৭২, রাউরকেলা - ০৬৬১২৫০১০৭২ / ০৬৬১২৫০০২৪৪, হাওড়া - ৯৪৩৩৩৫৭৯২০ / ০৩৩২৬৩৮২২১৭, ঝাড়সুগুডা - ০৬৬৪৫-২৭২৫৩০। এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে অন্যান্য ট্রেন চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে আরও কিছু ট্রেনের। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় বেশকয়েকজনের। একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।