গোরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। শর্ত সাপেক্ষে অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করে।এর আগে জামিনের জন্য একাধিকবার কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। হাইকোর্টে একাধিকবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্টে ফের জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে শর্ত সাপেক্ষে অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দেওয়া হয়।
তবে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে তৃণমূল নেতাকে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, অনুব্রত মণ্ডলকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। গোরু পাচার মামলায় তদন্তে সহোযোগিতা করতে হবে। পাশাপাশি, এই মামলায় সাক্ষীদের প্রভাবিত করা যাবে না। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বীরভূমের নিচুপট্টি এলাকা থেকে `তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রথমে তাঁকে অসংশ্ল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। পরে তাঁকে দিল্লির তিহার জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। সেই থেকে তিহার জেলেই বন্দি রয়েছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রত’র আইনজীবী জানান, গোরু পাচার মামলায় একের পর এক অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন। সেই জায়গায় তাঁর মক্কেলকে ধরে রাখা হয়েছে। উল্টোদিকে, সিবিআইয়ের তরফে এই জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। জামিন পেলে অভিযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন বলে জানায় সিবিআইয়ের আইনজীবী।
তবে, এখনই বাড়ি ফিরতে পারছেন না বীরভূমের এই দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা। গোরু পাচার মামলায় আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলায় তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। সিবিআইয়ের মামলায় অনুব্রত জামিন পেলেও ইডি মামলায় তিনি জামিন পাননি। সেই কারণে, তাঁকে তিহারেই থাকতে হচ্ছে আপাতত। ইডি’র মামলাটি দিল্লি হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে। এই মামলাটির শীঘ্রই শুনানি হবে বলেও খবর। ইডি ওই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে সেই বছরই নভেম্বর মাসে গ্রেফতার করেছিল। ফলত, ইডি’র মামলায় যতদিন না তিনি জামিন পাচ্ছেন, সেই কয়দিন তিহারেই বন্দি থাকতে হবে তাঁকে।