• মুর্শিদাবাদ থেকে বর্ধমান যাওয়ার রাস্তাতে ধান চাষ করতে হবে, কেন এমন দাবি!...
    আজকাল | ৩০ জুলাই ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক : মুর্শিদাবাদের সঙ্গে বর্ধমান জেলার সংযোগকারী প্রধান রাস্তা , কান্দি-কাটোয়া রাজ্য সড়ক বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও এই রাস্তা কবে ঠিক হবে তা স্থানীয় বাসিন্দাদের জানা নেই। সালার স্টেশন থেকে সালার দ্বিতীয় রেলগেট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও কোন দপ্তর কবে এই রাস্তা সংস্কার শুরু করবে তা এখন এলাকার সমস্ত মানুষের কাছে বড় প্রশ্ন।

    তৃণমূল দলের আভ্যন্তরীণ সমীকরণের কারণে স্থানীয় বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে ভরতপুর -২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের মুখ দেখাদেখি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের পর ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আর নিজের বিধানসভায় এলাকাতে পা দেননি। তার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ রাস্তা নিয়ে তাদের সমস্যার কথা বিধায়ককে জানাতেও পারছেন না।

    মুর্শিদাবাদকে বর্ধমান জেলার সঙ্গে সংযোগকারী এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশো পণ্যবাহী গাড়ির পাশাপাশি অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস এবং সাধারণ মানুষ বাইক ,টোটোতে করে যাতায়াত করেন। কিন্তু প্রায় চার মাসের বেশি সময় ধরে রাস্তাটির কঙ্কালসার অবস্থায় পড়ে থাকলেও সরকারের কোনও দপ্তরের তরফ থেকে সেটি সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেই স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তার ফলে রোজ প্রাণ হাতে করে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বেহাল রাস্তা কবে সংস্কার হবে তা জানে না সালারবাসী।

    শফির শেখ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,"কান্দি-কাটোয়া রাজ্য সড়কে এখন চাষিরা এসে ধান লাগাতে পারেন। রাস্তার পিচ উঠে সম্পূর্ণ কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। কিন্তু এই রাস্তা দিয়েই এখন সমস্ত বাস, পণ্যবাহী গাড়ি এবং বাইক চলাচল করে। অন্য রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়িগুলো আর যাতায়াত করে না। তার ফলে প্রতিদিন রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।"

    রাজ্য সড়কের খারাপ অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন,"কান্দির রসড়া থেকে ওই রাজ্য সড়কের অবস্থা খুব খারাপ। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে এবং পূর্ত দপ্তরের নজরেও আনা হয়েছে। আমার কাছে খবর রয়েছে দপ্তর রাস্তাটি নতুন করে তৈরী করবে। তবে সেই কাজ শুরু হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। "

    মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তথা ভরতপুর-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন ,"রাস্তার খারাপ অবস্থার বিষয়টি ইতিমধ্যে আমাদের দলের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার পূর্ত দপ্তরের নজরে এনেছেন। পূর্ত দপ্তরের তরফে চারদিন আগে রাস্তার 'মেসারমেন্ট' হয়ে গেছে। তবে দপ্তর যদি রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করতে দেরি করে আমরা স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু জায়গা মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। "
  • Link to this news (আজকাল)