• দাবি, 'প্রশাসনে বলেও কোনও লাভ হয়নি', বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীই নিজের হাতে বাঁধলেন বাঁধ...
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ জুলাই ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বহুবার গ্রাম পঞ্চায়েতে জানানোর পরেও সংস্কার হয়নি ভাঙা বাঁধ। বাধ্য হয়ে এলাকার জনগণই স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ-সংস্কারের কাজে নামল। স্বাভাবিক ভাবেই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভও প্রকাশ করেন এলাকার কৃষক-সহ সাধারণ মানুষজন।

    প্রায় দিন ২৫ আগে প্রবল বৃষ্টির জেরে মালবাজার মহকুমার  মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ইনডং নদী ও দক্ষিণ ধুপঝোরা এলাকায় কৃষিসেচ নালার খোঁচার বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধ ভাঙার ফলে দক্ষিণ ধুপঝোরা এলাকার প্রায় এক হাজার একরেরও বেশি জমিতে জল যাচ্ছে না। সমস্ত জল ভাঙা বাঁধ দিতে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এদিকে, জলের অভাবে ধানের চারাও জমিতে রোপণ করতে পারছেন না কৃষকেরা। পাট পচানোর মতো জলও নেই। স্বাভাবিকভাবেই ঘোর চিন্তায় পড়েছেন দক্ষিণ ধুপঝোরা এলাকার বহু কৃষক। গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানানোর পরে কর্মীরা এসে দেখে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।

    এবার তাই নিজেদের কাজ নিজেরাই করতে নেমে পড়েছেন দক্ষিণ ধুপঝোরা এলাকার মানুষ। সেখানকার স্থানীয় মানুষ ও কৃষকেরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ,বস্তা দিয়ে বাঁধ সংস্কার করতে নেমে পড়েছেন। এদিন জনগণের সঙ্গে কাজে হাত মেলান দক্ষিণ ধুপঝোরা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মজনুল হক, সমাজসেবী মেহবুব আলম, হামিদুল ইসলাম-সহ অন্যান্যরা। পঞ্চায়েত সদস্য মজনুল হক বলেন, এর আগে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কর্মী-সহ এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যরা ভাঙা বাঁধের এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জমিতে ধান রোপণের জন্য  জল পাচ্ছেন না দক্ষিণ ধুপঝোরা এলাকার বহু কৃষক।

    এদিন এলাকার জনগণ তাই স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙা বাঁধ সংস্কারের কাজ করতে নেমে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে আমরাও হাত মেলাই। মজলুল হক বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য। গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড  তৃণমূলের। স্বাভাবিক ভেবেই এদিন তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বোর্ডকেও কটাক্ষ করেন। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় ভাঙা বাঁধ সংস্কারের জন্য প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)