• প্রাথমিক শিক্ষকরা ‘প্রাইভেট টিউশন’‌ করতে পারবেন না, জারি চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জুলাই ২০২৪
  • সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন এমন অনেক শিক্ষকই গোপনে প্রাইভেট টিউশন করে থাকেন বলে অভিযোগ। আর এই তথ্য বারবার এসেছে শিক্ষা দফতরে। আর এটা রুখতে এখন কোমর বেঁধে নেমেছে পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। আর এবার থেকে এমন অভিযোগ পেলে নেওয়া হবে বড় পদক্ষেপ বলে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। প্রাথমিক শিক্ষকরা ‘প্রাইভেট টিউশন’ বাড়িতে গিয়ে পড়াতে পারবেন না বলে উল্লেখ করা আছে বিজ্ঞপ্তিতে। যদি প্রাইভেট টিউশন পড়ানোর খবর মেলে তখনই বাতিল হবে চাকরি। এই কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।

    এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে। যাঁরা প্রাইভেট টিউশন দিয়ে থাকেন। কিছুদিন আগে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বা গৃহশিক্ষকতা করা নিয়ে সরকারিভাবে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। সরকারি শিক্ষক হয়ে এটা করা নিয়মবিরুদ্ধ। তারপরও রমরমিয়ে অনেক শিক্ষক তা করছেন বলে অভিযোগ। এবার কড়া পদক্ষেপ করল মেদিনীপুরের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। গৃহ শিক্ষকদের যে সংগঠন তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের দাবি, এটা চলতে থাকলে গৃহশিক্ষকদের রুজি রুটিতে টান পড়বে।


    সরকারি স্কুলের শিক্ষক হয়ে প্রাইভেট টিউশন পড়ানো আইন লঙ্ঘনের সমান। তাই এটা করা যায় না। কিন্তু গোপনে এই কাজ একাধিক শিক্ষকরা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। কদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিস থেকে একটি নোটিশ জারি করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যে সকল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন করছেন তাঁদের অবিলম্বে তা বন্ধ করে দিতে হবে। তা না হলে চাকরি বাতিল হবে।

    এই জেলার বহু প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন করেন। এখন তাঁরা কোন পথে হাঁটবেন সেটাই দেখার বিষয়। আর যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা এই সব শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রাইভেট টিউশন নিচ্ছিল তারা এখন পড়েছে মহা বিপদে। পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে আগেই কর্তৃপক্ষের কাছে আপত্তি জানিয়েছিলেন তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনের পরেই পদক্ষেপ করা হবে বলে তাঁদের তখন আশ্বাস দেওয়া হয়। মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্যও একই নির্দেশিকা জারি করা উচিত বলে অনেকে মনে করেন। তবে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যালয় পরিদর্শকদের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)