‘ওদেরকেও দিল্লিতে ডাকা দরকার’, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিশেষ বার্তা অধীরের
এই সময় | ৩১ জুলাই ২০২৪
দলের একাংশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সোমবার দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক গুলাম আলি মীর সহ হাইকম্যান্ডের নেতারা৷ সেই বৈঠকের পরই জানা যায়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী৷অধীর বলেন, ‘বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার সময়ও জানতাম আমিই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ কিন্তু বৈঠকে ঢোকার পর গুলাম আলি মীর আমাকে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলে উল্লেখ করেন৷ তখনই বুঝতে পারলাম আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ আমার ইস্তফাপত্র যে গৃহীত হয়েছে, সেটা আমাকে জানানোই হয়নি৷’ পাশাপশি, দলের নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। একটি ফেসবুক পোস্টে অধীর বলেন, ‘যে কর্মীরা রাতদিন লড়াই করছে, দলের পতাকা নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গেও দিল্লি কথা বলুক, তাদের মতামতও জানা দরকার। তাদেরকেও দিল্লিতে ডাকা দরকার।’
এরপরেই সেই পোস্টে কিছুটা অভিমানের সুরে অধীর বলেন, ‘আমি আমার সেই সকল সহকর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় থাকব, আন্দোলনের পথে, অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করতে শিখিনি, করবোও না।’
একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধীর এও জানান, যেদিন থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে দলের সভাপতি হলেন, কংগ্রেসের সংবিধান অনুযায়ী গোটা দেশে দলের সমস্ত পদ অস্থায়ী হয়ে গিয়েছিল৷ আমার পদও অস্থায়ী হয়ে গিয়েছিল৷ যদিও, রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে হবেন, তার কোনও আভাস পাওয়া যায়নি। খুব শীঘ্রই রাজ্যের জন্য নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বেছে নেওয়া হবে বলেই খবর।