• শিলিগুড়িতে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, জমি দখলের মামলায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
    এই সময় | ৩১ জুলাই ২০২৪
  • রাজ্যের একাধিক পুরসভা এলাকায় বেআইনি উচ্ছেদ অভিযান চলছে। হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এর মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনা শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছ উচ্ছেদ অভিযান। জবরদখল উচ্ছেদ করার কাজ শুরু হয়েছে রাজ্যের সব পুরসভায়। এই কাজে পুরসভার চেয়ারম্যানদের মতোই এগিয়ে এসেছেন শাসক দলের কাউন্সিলাররাও। কিন্তু উল্টোচিত্র দেখা গেল শিলিগুড়ি পুরসভায়। সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলার।

    মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের চম্পাসারি বাজারের উচ্ছেদ অভিযানে যায় পুরসভা। সেখানের নিবেদিতা রোড, চম্পাসারি মোড় এলাকায় রাস্তা এবং ড্রেন দখল করে করা হয়েছে সবজি এবং ফলের দোকান। সেই দোকান ভাঙার জন্য অভিযানে যায় পুরসভা। পুরকর্মীরা যেতেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কাউন্সিলার তথা মেয়র পারিষদ দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে।

    দিলীপ বর্মন বলেন, ‘যতদিন না পর্যন্ত এই সকল দোকানদারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, ততদিন উচ্ছেদ করা যাবে না।’ তাঁর কথায়, এই বাজার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে হলেও ব্যবসায়ীরা সবাই আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁরা ৩০-৩৫ বছর ধরে দোকান করছেন। এইভাবে তাঁদের উচ্ছেদ করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের লোক আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। তাঁদের পাশে আমি থাকব। এর জন্য কাউন্সিলর পদে না রাখা হলেও আমার চিন্তা নেই।’

    এরপরই মেয়র পারিষদের নেতৃত্বে শুরু হয় প্রতিবাদ। সেখানে ব্যবসায়ীরা মিছিল শুরু করেন। অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘কে কী বলেছে জানা নেই।’ কিন্তু রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের যতটা সম্ভব পুর্নবাসন দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    অন্যদিকে, জমি দখলের মামলায় ফের গ্রেফতার হলেন শিলিগুড়ির এক তৃণমূল নেতা। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর কিছুদিন আগেই ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল এনজেপি থানা। সোমবার রাতে ফুলবাড়ির আরেক তৃণমূল নেতা মহম্মদ আহিদ ওরফে চুটকিকে গ্রেফতার করেছে এনজেপি থানার। তাঁর আরেক সঙ্গী নাসির আহমেদকে আটক করা হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)