• ঠান্ডা মাথায় নৃশংস খুন! বাবা ও সৎ মাকে খুনের দায়ে ছেলেকে ফাঁসির সাজা জেলা আদালতের ...
    আজকাল | ৩১ জুলাই ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: ঠান্ডা মাথায় নৃশংস খুন। গলা কেটে বাবা এবং সৎ মাকে খুন করেছিল ছেলে। মঙ্গলবার সেই অভিযোগে অভিযুক্ত নীলকান্ত সাহাকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন হুগলি জেলার প্রথম অতিরিক্ত সহকারি দায়রা আদালত শ্রী সঞ্জয় শর্মা। গত বুধবার নীলকান্তকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলা আদালত।

    এদিন আদালতের সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট। বলাগড় থানার অন্তর্গত কালিয়াগড় এলাকায়। ওই এলাকার রামকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন চন্দ্র কান্ত সাহা এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা সাহা। আলাদা থাকত চন্দ্রকান্তের ছেলে নীলকান্ত। ঘটনার রাতে নীলকান্ত তার বাবা এবং সৎ মাকে খুন করার উদ্দেশে ওই বাড়িতে আসে। ঘরে তাঁদের না পেয়ে নীলকান্ত বাড়ির পাশে থাকা একটা গহনার দোকানে বাবা-মায়ের অপেক্ষা করে। দম্পতি বাড়িতে ফিরতেই আসামি নীলকান্ত ঘরে ঢুকে ধারাল ছুরি দিয়ে তাঁদের দুজনের গলার নলি কেটে দ্রুত পালিয়ে যায়। বাড়িওয়ালা উপর থেকে চিৎকার শুনে যখন নীচে নেমে আসেন, তখন তিনি নীলকান্তকে ওই ঘর থেকে ছুটে পালিয়ে যেতে দেখেন। পাশে থাকা গয়নার দোকানের সিসিটিভিতেও ধরা পড়ে নীলকান্তর পালিয়ে যাওয়ার ছবি।

    তার সেই রাতের গতিবিধি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরেও পড়ে। বাড়িওয়ালা রামকৃষ্ণ চিৎকারের শব্দে সেখানে আসা প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় রক্তাক্ত দু'জনকে নিয়ে আহমেদপুর রুরাল হাসপাতালে নিয়ে যান। মৃত্যু হয় চন্দ্রকান্ত। স্ত্রী অঞ্জনা সাহাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ আগস্ট মৃত্যু হয় অঞ্জনার। বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাড়িওয়ালা রামকৃষ্ণ সাহা। পুলিশের তরফে দ্রুত মামলার তদন্ত করে ১৪ নভেম্বর ২০২২ চার্জ শিট দাখিল করা হয়।

    গত ১৫ মার্চ ২০২৩ এই মামলায় ৩০২ ধারায় চার্জ গঠন করে পুলিশ। মোট ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন সরকারি আইনজীবী। খুব দ্রুততার সঙ্গে মামলা পরিচালনা করে ২৪ জুলাই ২০২৪ সব সাক্ষ্য বিচার করে হুগলি জেলার প্রথম অতিরিক্ত সহকারি দায়রা বিচারক শ্রী সঞ্জয় শর্মা আসামি নীলকান্তকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এদিন অভিযুক্ত নীলকান্ত সাহাকে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়। সাজা ঘোষণার পর অভিযোগকারী বাড়িওয়ালা রামকৃষ্ণ সাহা বলেছেন, এই সাজা সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

    ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)