স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ নিপুচাপুর চা-বাগান সংলগ্ন শ্রমিক বস্তির এক শিশু আয়ান রায় (৪) বাড়ির পাশে বাগানের মধ্যেই খেলাধুলো করছিল। সেই সময় চা-বাগান থেকে একটি চিতাবাঘ শিশুটিকে আক্রমণ করে বসে। এই দৃশ্য দেখে শিশুর দাদু গৌরাঙ্গ রায় ছুটে যায় চিতা বাঘের কাছে। রীতিমতো বাঘের সঙ্গে লড়াই করেন তিনি। এমন অবস্থায় চিতাবাঘের হাত থেকে নিজের ছেলে এবং বাবাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুকেশ রায়। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন প্রতিবেশী তিন যুবক-- মার্কোস ওঁরাও, প্রদীপ ওঁরাও, মাংরি ওঁরাও। তাঁরাও এসে চিতাবাঘের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। চিতাবাঘ সকলকেই আহত করে আবার চা-বাগানে পালিয়ে যায়।
এরপর আশেপাশের মানুষজনও ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। বর্তমানে সকলের চিকিৎসা চলছে এই হাসপাতালে। ছোট্ট শিশুটির দাদু গৌরাঙ্গ রায়ের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়েই মালবাজার হাসপাতালে ছুটে আসেন মালবাজার বন আধিকারিকেরা। আহতদের যাতে ঠিকঠাক চিকিৎসা হয় সে ব্যবস্থা করেন তাঁরা। ওদিকে দুর্ঘটনাস্থল নিপুচাপুর চা-বাগানে বনকর্মীরা টহলদারি শুরু করেন। তাঁরা খোঁজ চালাচ্ছেন ওই চিতা বাঘটির। চা-বাগানে শ্রমিকদের ওই এলাকায় এখন যেতে বারণ করছেন বনকর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অবিলম্বে এই চা-বাগানে খাঁচা পেতে চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করা হবে।