বেশ কিছু বছর আগেকার কথা। তখনও বীরভূম রাজনীতিতে 'কেষ্ট নাম' ততটা জনপ্রিয় ছিল না। বাবার ব্যবসা সামলাতেন অনুব্রত। সেই সময় তিনি বিয়ে করেছিলেন পাড়ার মেয়ে ছবিকে। শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব বাড়ি থেকে খুব একটা নয়। মেরেকেটে ২০০ মিটার। শোনা যায়, ঢাকঢোল পিটিয়ে নয়, রেজিস্ট্রি করেই সেই বিয়ে হয়েছিল। সেই বিয়েতে সাক্ষী হয়েছিলেন সেই সময় স্থানীয় কংগ্রেস নেতা চিত্তরঞ্জন রক্ষিত, বিকাশ রায়চৌধুরীরা।
পাড়ায় কান পাতলে শোনা যায়, প্রেম করেই নাকি সেই বিয়ে হয়েছিল। যদিও একটি সাক্ষাৎকারে অনুব্রত দাবি করেছিলেন, প্রেম করেননি তিনি। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে অনুব্রতর পরিবারের সম্পর্কও বেশ ভালোই। জামাই আদরে কোনওদিন খামতি রাখেননি ছবির পরিবার। অনুব্রতও স্ত্রী বেঁচে থাকাকালীন শ্বশুরবাড়ি যেতেন। কিন্তু, আপাতত তিনি বাংলা থেকে বহু দূরে।
অনুব্রতর জামিনের খবর পয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ছবি মন্ডলের দাদা আনন্দ গোপাল ঘোষ। বললেন, "যেদিন ওরা জেল থেকে ছাড়া পাবে সেদিন আর কেউ যাক না যাক আমি সবার আগে যাব মালা নিয়ে। অনুব্রতর জন্য তো মন কাঁদছেই তার থেকেও বেশি মন কাঁদছে ভাগ্নি রুবাইয়ের ( সুকন্যা মন্ডল) জন্য। আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি ওরা যেন তাড়াতাড়ি ছাড়া পেয়ে যায় ।"
এছাড়াও তিনি বলেন, " যারা কেষ্ট মন্ডলের জন্য বড় হল, যারা ওর দৌলাতে প্রচুর সম্পত্তি করল আজকে ওর বিপদের দিনে তারা কেউ ওর পাশে নেই। তারা সবাই দূরে চলে গিয়েছে। এখন শুধু তাদের ভয় যদিও ওদের ইডি সিবিআই ধরে!"