পশুপক্ষীপ্রেমী চন্দন ক্লেমেন্ট সিং বলেন, রিষড়া স্টেশনে কতগুলি গাছ কাটা হয়েছে। সেই গাছে যেসব পাখির বাসা ছিল, সেগুলি নষ্ট হয়েছে। অনেক পাখির ডিম নষ্ট হয়েছে পাখি মারা গিয়েছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব, এই ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, পরিবেশে গাছপালা যেমন থাকবে, পশু-পাখিও থাকবে। আবার মানুষও থাকবে। তবেই তো ভারসাম্য রক্ষা হবে।
রিষড়ার পরিবেশকর্মী সাবির আলি বলেন, রেলের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছি। গাছের ডাল কেটে ফেলায় প্রচুর পাখি মারা গিয়েছে। গাছ আমাদেরও ছায়া দেয়। এভাবে গাছ কেটে যদি পরিবেশকে ধ্বংস করা হয়, তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। আমরা চাইছি, রেল যেমন গাছ কেটেছে আরো গাছ এখানে লাগাক। রিষড়ায় আরো অনেক সমস্যা আছে, আন্ডারপাস লেবেল ক্রশিংয়ের সমস্যা আছে। সেগুলি নিয়ে ভাবনা নেই রেলের। এই ঘটনা নিয়ে এলাকার পরিবেশপ্রেমী এবং পশুপ্রেমী সংগঠন সরব হয়েছে। আজ বিকেলে রিষড়া স্টেশন মাস্টারকে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দেন।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, যে ঠিকাদার কাজ করছে, তারা কেন এটা করল, সেটা দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।