সংবাদদাতা, বেলদা: চিকেন বিরিয়ানি, পমফ্রেট মাছের তন্দুরি ও শেষে ম্যাঙ্গো ফ্লেভারের আইসক্রিম। না, কোনও নেমন্তন্ন বাড়ির মেনু নয়। এ হল দাঁতন ২ ব্লকের জাহালদা দক্ষিণ চক্রের অন্তর্গত বাঁশিচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মি ডে মিলের মেনু। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে সমস্ত স্কুলগুলির যখন পড়ুয়াদের পাতে সব্জি-ভাত দিতে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়, তখন একটি স্কুলের মিড ডে মিলের এই মেনু অবাক করার মতো ব্যাপার বইকি।
প্রথম থেকেই খবর ছিল মঙ্গলবার স্কুলে স্পেশাল কিছু হতে চলেছে। আর তাই সকাল সকাল স্কুলে হাজির অধিকাংশ পড়ুয়া। স্কুল শুরু হতে না হতেই ক্লাসরুমে ছড়িয়ে পড়েছিল বিরিয়ানির গন্ধ। টিফিনের ঘণ্টা পড়তে না পড়তেই থালা হাতে নিয়ে বসে পড়তে দেরি করেনি পড়ুয়ারা। আর পাঁচটা দিনের মতো সাদামাটা ভাত, ডাল, সয়াবিনের তরকারির জায়গায় শুরুতেই পাতে পড়ে স্যালাড, তারপরে চিকেন বিরিয়ানি। খাওয়া শুরু করতে না করতেই পমফ্রেট মাছের তন্দুরি। খেতে খেতেই কথা বলছিল বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সৈকত মান্না, অঙ্কিতা জানা, রবি সোরেন, সাগর গিরিদের সঙ্গে। তাদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছিল ভোজ খাওয়ার আনন্দ। তারা বলল, রোজ রোজ সয়াবিন, ডাল খেতে কার ভালো লাগে? আজ বিরিয়ানি হয়েছে, দারুন লাগছে খেতে। যেন মনে হচ্ছে আজ বিয়েবাড়িতে ভোজ খাচ্ছি। এর উপরে শেষ পাতে ছিল আইসক্রিমও।
প্রধান শিক্ষক কল্লোল দাস বলেন, যেভাবে দিনদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে ইচ্ছে থাকলেও প্রতিদিন ছেলেমেয়েদের ভালোমন্দ খাওয়ানো সম্ভব হয় না। তবে বছরে একবার আমরা সহকর্মীদের নিয়ে বিশেষ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে থাকি। গত বছর ছাত্রছাত্রীদের আবদারের খাওয়ানো হয়েছিল ইলিশ মাছ ও ফ্রায়েড রাইস। ওদের জন্যই তো আমরা, তাই ওদের আনন্দ দিতে পারলে আমরা খুশি। দাঁতন ২ ব্লকের বিডিও অভিরূপ ভট্টাচার্য বলেন, নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। শুনেছি স্কুলটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভালো কিছু করেছে। একদিন স্কুলটি দেখতে যাব।