• অন্ধকারে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও সাহায্য পাইনি, জানালেন বড়ঞার যাত্রী
    বর্তমান | ৩১ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কান্দি: অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে টানা দু’ঘণ্টা। সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে ভোর হতেই চার কিমি হেঁটে নিকটবর্তী স্টেশনে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে ট্রেন দুর্ঘটনায় এমনই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বড়ঞা ব্লকের বিচকান্দি গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু শেখ। তিনি অভিশপ্ত ট্রেনের যাত্রী ছিলেন।


    পিন্টু কয়েকবছর ধরে মুম্বইয়ে একটি নোটবুক কারখানায় কাজ করেন। কর্মস্থলে ফেরার জন্য সোমবার সাতসকালেই হাওড়া পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে হাওড়া-মুম্বই সিএসএমটি এক্সপ্রেসে উঠেন। তিনি ওই ট্রেনের বি-৩ কামরার ১৪ নম্বর সিটে বসেছিলেন। দুর্ঘটনার পর পিন্টু শেখ বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।পিন্টুবাবু ফোনে জানান, দুর্ঘটনার পরমুহূর্তেই তিনি কামরা থেকে বেরিয়ে পড়েন। চারদিকে তখন শুধুই অন্ধকার। যাত্রীদের চিৎকার। কাউকে দেখা যাচ্ছিল না। তিনি বলেন, তখনও আমি জানতে পারিনি, ওই কামরাতেই যাত্রী মারা গিয়েছেন। টানা দু’ঘণ্টা অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। সকাল ৬টার পর রেলের আধিকারিকরা ও পুলিস আসতে শুরু করে। তবে, আমি আর অপেক্ষা না করে রেললাইন ধরে নিকটবর্তী স্টেশনে চলে যাই। সেখানেও কোনও ব্যবস্থা ছিল না। পরে একটি ভাড়া গাড়িতে টাটানগর চলে আসি। সেখান থেকে ফের কলকাতার দিকে রওনা দিয়েছি।
  • Link to this news (বর্তমান)