• স্কুলে প্রতিদিন দেরিতে আসায় শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
    বর্তমান | ৩১ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: স্কুলে রোজই দেরি করে আসেন শিক্ষকরা। ক্লাসরুম বন্ধ থাকায় বাইরে বসে অপেক্ষা করতে হয় পড়ুয়াদের। সাড়ে দশটার বদলে কোনও কোনও দিন দুপুর বারোটার পরে স্কুলে পা পড়ে শিক্ষকদের। মঙ্গলবারও দেরি করে স্কুলে আসতেই শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ অভিভাবক এবং বাসিন্দারা। সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা-১ ব্লকের মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব ভূতকুড়া ৪র্থ পরিকল্পনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রায় আধঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ রায়ের আশ্বাসে বিক্ষোভ বন্ধ হয়।  


    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতিদিনই দেরিতে স্কুলে আসেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। আগেও বহুবার স্থানীয় বাসিন্দারা শিক্ষকদের সঠিক সময়ে স্কুলে আসার আবেদন করেন। কিন্তু শিক্ষকরা তাতে কর্ণপাত করেননি। তাই বাধ্য হয়ে এদিন স্কুল প্রাঙ্গণেই শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, স্কুলে নিয়ম মেনে ক্লাস হয় না। শিক্ষকরা সাড়ে ১০টার বদলে কোনওদিন সাড়ে ১১টা বা ১২টার সময় স্কুলে ঢোকেন। ফলে পড়ুয়ারা ঘণ্টাখানেক শিক্ষকদের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকে। ক্লাসে বিঘ্ন ঘটে। ঠিকমতো ক্লাস না নিয়েই মিড ডে মিল খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তারপরই দ্রুত ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।


    স্থানীয় বাসিন্দা ফিরদউস রহমান বলেন, এই স্কুলে একশোর বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তাদের জন্য চারজন শিক্ষক রয়েছেন। প্রতিদিনই শিক্ষকরা স্কুলে দেরি করে আসেন। আমরা আগেও শিক্ষকদের অনুরোধ করেছি। তারা গ্রামবাসীকে পাত্তা দেননি।   


    এই ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সুভাষ রায় বলেন, আমি রোজ ১১টার আগেই স্কুলে আসি। এদিন রাস্তায় একটু দেরি হয়েছে। তবে ১১টা ১২ মিনিটের মধ্যেই স্কুলে ঢুকেছি। অন্য শিক্ষকরা এখনও কেন আসেননি সেটা বলতে পারব না। তবে স্কুলে পঠনপাঠন ঠিকভাবে হয়। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদিও অন্য শিক্ষকরা দেরি করে স্কুলে আসার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁরা বুধবার থেকে সঠিক সময়ে স্কুলে আসবেন কি না, তাও জানাননি।  (নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)