• কোচবিহার মেডিক্যালে এক্স-রে বিকল, বাইরে পরিষেবার ব্যবস্থা
    বর্তমান | ৩১ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারানো সম্ভব হয়নি। সোমবার মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় মেশিন সারানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, মেশিন সারানোর জন্য নির্দিষ্ট যন্ত্রের প্রয়োজন। সেই যন্ত্র কলকাতা থেকে আনতে হবে। সেটি এসে না পৌঁছনো পর্যন্ত মেশিন সারানো সম্ভব হবে না। ফলে রোগীরা যাতে আর সমস্যায় না পড়েন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা বাইরের একটি ক্লিনিকের সঙ্গে চুক্তি করেছে। মেডিক্যাল কলেজে যাঁদের এক্স-রে করানো প্রয়োজন তাঁদের টোকেন ইস্যু করা হচ্ছে। তাঁরা সেই টোকেন নিয়ে নির্দিষ্ট ক্লিনিকে গিয়ে এক্স-রে করিয়ে আসছেন। এদিন মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি ও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বৈঠক করেন। সেখানে হাসপাতালের অস্ত্রোপচার, এক্স-রে সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। স্থানীয় কাউন্সিলারকে সঙ্গে নিয়ে মাতৃমা বিভাগ সংলগ্ন এলাকার জঞ্জাল অপসারণের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়।


    কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, এক্স-রে মেশিনের মাদার বোর্ড কলকাতা থেকে কিনে পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি বুধবারের মধ্যে সেটি এখানে এসে পৌঁছবে। তারপর তা লাগানোর কাজ শুরু হবে। 


    এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই বাইরের ক্লিনিকের সঙ্গে নির্দিষ্ট সংস্থার চুক্তি হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের দেওয়া কুপন নিয়ে সেখানে গেলে বিনা পয়সায় এক্স-রে করা হচ্ছে। মেশিন ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চালানো হবে। এদিন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে নিয়ে মাতৃমার সামনে গিয়েছিলাম। সেখানকার জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অস্ত্রোপচার যাতে দ্রুত হয় সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।  


    মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ বলেন, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই রোগীদের প্রয়োজনীয় এক্স-রে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চুক্তির নিয়ম অনুসারে সাত দিনের মধ্যে মেশিন ঠিক করতে না পারলে নির্দিষ্ট সংস্থাকেই এক্স-রে ব্যবস্থা করতে হয়। সেই অনুসারেই বিনা পয়সায় এক্স-রে এর  ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)