• পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হাসপাতাল থেকে উধাও কুখ্যাত আসামি, সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় ফের পাকড়াও ...
    আজকাল | ৩১ জুলাই ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত কুখ্যাত আসামি। শেষমেশ সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় ফের তাকে হেফাজতে নিল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমে।

    মঙ্গলবার দুপুরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসামি রবীন মণ্ডলকে আনা হয়েছিল। সেই সময়েই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বীরভুম ও লাগোয়া বর্ধমানের থানাগুলিকে অ্যালার্ট করা হয়। ছোঁড়া ফাঁড়িতেও ছবি পাঠিয়ে খবর দেওয়া হয়। পূর্ব বর্ধমানের ভেদিয়ার কাছে বাগবাটি মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের সুধাংশু যানবাহন সামলাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁকে নিয়েই সাতলা গ্রামে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পুলিশকে দেখেই পালানোর চেষ্টা করে রবীন। তাকে ছুটে গিয়ে ধরে ফেলেন সুধাংশু।

    পুলিশ সূত্রে খবর, রবীন আদতে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের যজ্ঞেশ্বরডিহির আদি বাসিন্দা। নানুর থানারই একটি বড় মামলায় অভিযুক্ত সে। শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে স্ত্রীকে খুন ও নাবালিকাকে ধর্ষণ করার মামলায় অভিযুক্ত সে। ওই নাবালিকা স্ত্রীর প্রথম পক্ষের মেয়ে। বিয়ের পর থেকে রবীনের সঙ্গে নিত্যদিন অশান্তি হত কণিকার। ৮ জুলাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চরমে পৌছয়। ৯ জুলাই কনিকার বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, তিনি নিখোঁজ। খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়া গেলে ১১ জুলাই নানুর থানায় নিখোঁজ বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপর, ১২ জুলাই সকালে অজয় নদী থেকে কনিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

    কণিকার নাবালিকা মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, রবীন স্ত্রীকে খুন করেছে। এমনকী প্রায়শই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করত। যে রাতে স্ত্রীকে খুন করে, সেই সময়েই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় রবীন। পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করার পর, নানুর থানার পুলিশ রবীনকে গ্রেপ্তার করে। তারপর, আদালত তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
  • Link to this news (আজকাল)