• 'তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী করে চুপ করব! পারব না', অধীরের নিশানায় হাইকম্যান্ড
    আজ তক | ৩১ জুলাই ২০২৪
  • কংগ্রেস হাইকমান্ডের ভূমিকা নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের বৈঠকে তাঁকে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সম্বোধন করায় বেজায় চটেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ। সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলার পর রাতে ফেসবুক পোস্টে নাম না করে হাইকম্যান্ডকেই বিঁধেছেন। তিনি লিখেছেন,'আমাদের লোকদের মারছে, যে কর্মীরা রাতদিন তৃণমূলের হাতে মার খেলো,খাচ্ছে, তাদের জন্য আমরা বলবো না তো কে বলবে?'

    তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল অধীর চৌধুরীর। বহরমপুরে তিনি হারার পর রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে মেরুকরণের অভিযোগ করেছেন। দিল্লি গিয়ে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে সে কথা বলেও এসেছেন। এবার কংগ্রেসের বৈঠকের পর তিনি বলেন,'বাংলার কংগ্রেস এখন দু'জন চালাচ্ছে। গোলাম মীর এবং সিং সাহেব। গতকালের বৈঠক শুরু হওয়ার আগে হঠাৎ করে গোলাম মীর সিং বলে উঠলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি'।

    এরপর ফেসবুক পোস্টে অধীর লিখেছেন,'আমাদের লোকদের মারছে, যে কর্মীরা রাতদিন তৃণমূলের হাতে মার খেলো, খাচ্ছে, তাদের জন্য আমরা বলবো না তো কে বলবে ? শাসক তৃণমূল আমাদের দল ভাঙছে প্রতিদিন! ওরা তো ‘ইন্ডিয়া’ জোটে সামিল হয়ে আমাদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করেনি ! তৃণমূল তো এ রাজ্যের শাসক দল, তারা কি আমাদের কংগ্রেস কর্মীদের কোনোরকম রেহাই দিয়েছে? আজও জেলে বন্দি আমাদের কর্মী, মিথ্যা মামলায় জর্জরিত,আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে, করছে, বিরাম নেই তো'! (অসম্পাদিত)

    তিনি আরও লিখেছেন,'তাহলে সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কীকরে চুপ করব, করলে আমার সেই সহকর্মীদের প্রতি অবিচার অন্যায় করা হবে! আমি পারব না।
    যে কর্মীরা রাতদিন লড়াই করছে, দলের পতাকা নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছে তাদের সাথেও দিল্লি কথা বলুক, তাদের মতামতও জানা দরকার। তাদেরকেও দিল্লিতে ডাকা দরকার'। (অসম্পাদিত)

    ঘটনা হল, লোকসভা নির্বাচন পর্বেই মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে অধীরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে হাইকম্যান্ডের সঙ্গে অধীরের ভিন্ন অবস্থানও সর্বজনবিদিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন চাঁচাছোলা ভাষায় অধীর আক্রমণ করছেন, সেই সময় জয়রাম রমেশদের গলায় শোনা গিয়েছে নরম সুর। এরপর তো কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে বলেই দিয়েছিলেন,'অধীর চৌধুরী কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কংগ্রেস দল আছে, হাইকমান্ড আছে। আমরা যা সিদ্ধান্ত নেব, সেটাই হবে'। সেই ঘটনাক্রমেই নতুন সংযোজন, অধীর নিয়ে হাইকম্যান্ডের বিরূপ মনোভাব, এমনটাই মত অনেকের। 
  • Link to this news (আজ তক)