বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত নির্বাচনী নথি সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের
এই সময় | ৩১ জুলাই ২০২৪
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত নির্বাচনী নথি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। আদালত আরও জানিয়েছে, সংরক্ষণ করতে হবে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও ফুটেজও। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।বসিরহাটে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। নতুন করে বসিরহাটে নির্বাচন হোক এই দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন তিনি। বুধবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি জানান, রেখা পাত্র যে পিটিশন দায়ের করেছেন তা আদালত গ্রহণ করেছে। ওই কেন্দ্রের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। এই মামলায় সমস্ত পক্ষকে নোটিশ দিতে হবে, কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে শুধু রাজ্য নয়, দেশের রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল বসিরহাটের দিকে। কারণ ভোটের আগেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়েছিল। শেখ শাহজাহানকে ঘিরে তীব্র অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল স্থানীয় মহিলাদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালির ‘প্রতিবাদী মুখ’ রেখা পাত্রকে বিজেপি প্রার্থী করে। ভোটের আগে বাংলায় তিনি প্রথম বিজেপি প্রার্থী যাঁকে ফোন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই রেখাকে নিয়ে বিস্তর চর্চা চলেছিল বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে বসিরহাট থেকে হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী করে তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন নুসরত জাহান। হাজি নুরুল ইসলাম পোড়খাওয়া রাজনীতিক। এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে তাঁর। এর সুফল ভোটবাক্সে মিলবে, আশা করছিল তৃণমূল।
নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর চওড়া হাসি ছিল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের ঠোঁটে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম পেয়েছিলেন ৮,৩৭,০৬২ ভোট। বিজেপির রেখা পাত্র পেয়েছিলেন ৪,৭০,২১৫ ভোট। যদিও রেখা পাত্র দাবি করেছিলেন ভোটে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এখন দেখার আদালত এই মামলার প্রেক্ষিতে ঠিক কী নির্দেশ দেয়!