'যা ঘটছে তা নিয়ে...', রাঙাপানির ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ মমতার
এই সময় | ৩১ জুলাই ২০২৪
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তাজা। এর মধ্যেই রাঙাপানিতে ফের দুর্ঘটনা। বুধবার ফাঁসিদেওয়ার কাছে একটি মালগাড়ির দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। আর এই দুর্ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নথি বলছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত দেশে বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৩৬-টি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে ট্রেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো যাত্রীর। আহতের সংখ্যাও দেড় হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে বড় দুর্ঘটনার সংখ্যা ১৮টি। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেস। বেলাইন হয়ে যায় ১৮টি কামরা। এই ঘটনার পর সুরক্ষা প্রসঙ্গে রেলের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরের দিনই রাঙাপানির দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘উত্তরবঙ্গের ফাঁসিদেওয়া রাঙাপানি এলাকায় আজ ফের একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটল। সেখানে মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে অত্যন্ত মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যা ঘটছে তা নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।' উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন সোমবার আগরতলা থেকে শিয়ালদা যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের সামনে ট্রেনটির কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় দশ জনের।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার ভোরে ঝাড়খণ্ডে হাওড়া-মুম্বই সিএসএমটি এক্সপ্রেসও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'আমি সত্যি জানতে চাই, এ কেমন প্রশাসন? প্রতিটা সপ্তাহই দুঃস্বপ্নের মতো। মৃত্যু মিছিল যেন শেষই হচ্ছে না। আমরা আর কতদিন তা সহ্য করব? ভারত সরকারের উদাসীনতা কি কাটবে না?'
একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে সরব বিরোধীরাও। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বলেন, 'কোনও দুর্ঘটনা ছাড়া যদি ট্রেন সফর শেষ হয় সেক্ষেত্রে মানুষ এখন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানায়। বর্তমান সরকার ট্রেন দুর্ঘটনার রেকর্ড গড়তে চাইছে। ইতিমধ্যেই তো প্রশ্নপত্র ফাঁসে রেকর্ড করেছে।'