• রফির মৃত্যুুবার্ষিকীতে বিনা পারিশ্রমিকেই গেয়ে চলেছেন হুগলির পরমেশ্বর
    এই সময় | ৩১ জুলাই ২০২৪
  • কখনও 'কেয়া হুয়া তেরা ওয়াদা', কখনও আবার 'আনে সে উসকে আয়ে বাহার', যখনই সময় পান তখনই খালি গলায় গেয়ে চলেন মহম্মদ রফির গান। কারও কারও তো তাঁর গান শুনে রফিসাহেবের কথাও মনে পড়ে যায়। তিনি হুগলির ভান্ডারহাটির বাসিন্দা মহম্মদ রফির অন্ধভক্ত পরমেশ্বর টুডু। আর রফির মৃত্যুদিতে গানে গানে স্মরণ করলেন তাঁকেই। গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর মতো, রফির গানেই তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি পরমেশ্বরের। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় গান শোনানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।নিত্যযাত্রীদের কাছে পরমেশ্বরই 'রফিসাহেব'গান যেন পরমেশ্বরের প্রাণ। পরনে শার্ট প্যান্ট, তার উপর বাদামি রঙের ব্লেজার, আর কণ্ঠে রফিসাহেবের গান। মঞ্চে অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ট্রেনে বা প্ল্যাটফর্মেও মাঝেমধ্যেই দরাজ গলায় গান গেয়ে ওঠেন তিনি। ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা অনেকেই পরমেশ্বরকে 'রফিসাহেব' বলেই ডাকেন। কারণ শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, সারা বছরই তাঁর কণ্ঠে শোনা যায় মহম্মদ রফির গান।

    বিনা পারিশ্রমিকেই শোনান গান৩১ জুলাই মহম্মদ রফির মৃত্যুদিন। তিনি চলে গিয়েছেন প্রায় সাড়ে চার দশক আগে। তবুও তাঁর গানকে কণ্ঠে নিয়েই আজও গেয়ে চলেছেন পরমেশ্বরের মতো মানুষেরা। সারা বছর ট্রেন, বাস সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেঘুরে রফির ভক্তদের তাঁর গান শুনিয়ে যান পরমেশ্বর। আর সেই গান শোনানোর জন্য কোনও পারিশ্রমিকও নেন না তিনি। মনের আনন্দেই গান গেয়ে চলেন তিনি।

    ছোটবেলা থেকেই গান গেয়ে চলেছেনপরমেশ্বর জানান, তাঁর বয়স যখন ১০-১১, তখন থেকে মহম্মদ রফির গান তাঁর প্রিয়। বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের গান গাওয়ার জন্য ডাক পড়ে তাঁর। পাশাপাশি ট্রেনে, বাসে বা রাস্তায় তাঁকে দেখা যায় মহম্মদ রফির গান গেয়ে মানুষের মনোরঞ্জন করতে। তিনি বলেন, 'যতদিন বেঁচে থাকব. ততদিনই রফিসাহেবের গান গেয়ে মানুষকে আনন্দ দেব। বাড়িতে অনেক সময় বারণ করে, কিন্তু আমি শুনি না। কারণ আমার গান শুনে কেউ যদি প্রশংসা করে, সেটাই আমার কাছে পরম পাওয়া হয়।'

    হাসিমুখে শুনিয়ে চলেছেন গানভারতীয় সিনেমায় মহম্মদ রফির হিট গানের সংখ্যা অসংখ্য। আর সেই সমস্ত গান গেয়েই একবুক আনন্দ নিয়ে বেঁচে রয়েছেন পরমেশ্বর টুডু। মহম্মদ রফি গানে গানেই বলেছিলেন, 'আজা তুঝকো পুকারে মেরে গীত', হয়ত সেই সুরের হাতছানিতেই ধরা দিয়ে গান শুনিয়ে চলেছেন পরমেশ্বর টুডু।
  • Link to this news (এই সময়)