আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুধুই কলকাতা। জেলায় দেখা পাওয়া যাচ্ছে না নিত্য প্রয়োজনীয় শাকসবজি ও অন্যান্য জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের। ফলে কলকাতায় বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও দাম কমেনি মফস্বলের বাজারগুলিতে। বিশেষ করে রান্নাঘরে যে জিনিসটি না হলে চলে না সেই আলুর দাম কমার কোনও লক্ষণ নেই এই বাজারগুলিতে। কোথাও আলু ৩৮ আবার কোথাও ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। খবরের কাগজ বা টেলিভিশনে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের কলকাতায় বিভিন্ন বাজারে হানা দেওয়ার খবর দেখানো হলেও মফস্বলের বাজারে তাঁদের কেন দেখা যাচ্ছে না সেই প্রশ্নই তুলছেন ক্রেতারা। তাঁদের প্রশ্ন, শুধু কি কলকাতায় দাম কমানোর উদ্যোগ নিলেই হবে? মফস্বলের লোকদেরও তো বাজার করতে হয়।
হুগলির কোন্নগরে রেল বাজারে বুধবার পর্যন্তও খুচরো বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা করে। ক্রেতারা যখন জানতে চাইছেন এত দাম কেন তখন বিক্রেতাদের যুক্তি, পাইকারি বাজারে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই দাম কমানো যাচ্ছে না। আর এটা শুধু আলু নয়। অন্যান্য শাকসব্জিও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। সেখানেও এই 'বেশি দাম'-এর যুক্তিটা খাড়া করছেন বিক্রেতারা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, শুধু কি তাহলে কলকাতার ক্রেতাদেরই স্বার্থ দেখছে টাস্ক ফোর্স? মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যেখানে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন গোটা রাজ্যে আলু-সহ অন্যান্য শাকসব্জির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সেখানে মফস্বলের বাজারগুলিতে কেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা যাচ্ছেন না?
রাজ্য সিপিএম নেতা কৌস্তুভ চ্যাটার্জির অভিযোগ, 'বর্তমান রাজ্য সরকার শুধু কলকাতা নিয়েই ভাবে। যার প্রমাণ সরকারের ক্যাবিনেটে যারা মন্ত্রী তাঁদের অধিকাংশই কলকাতার বাসিন্দা। দ্বিতীয়ত, শাসকদল ব্যবসায়ীদের থেকে এত টাকা নিয়েছে এবং নিচ্ছে যার জন্য এই মজুতদার বা কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা নেই। সেজন্যই মফস্বলের বাজারে কোনও টাস্ক ফোর্সের সদস্যকে দেখা যায় না এবং যাবেও না।'
তাহলে কি টাস্কফোর্স সত্যি মফস্বলকে এড়িয়ে যাবে? টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, 'এই অভিযোগ একদম ঠিক নয়। আমরা যেমন কলকাতায় হানা দিচ্ছি তেমনি ফোর্সের সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মফস্বলের বাজারগুলিও দেখতে। সমস্ত বাজারেই আমরা যাব।' প্রশ্ন তুলেছেন ক্রেতারা, কবে?