তবে গত ১৭ জুন এই রাঙাপানিতেই দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। সেই ঘটনায় মালগাড়ির চালকসহ অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে সেই জায়গাতে ফের দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার চক্রধরপুর এলাকায় মালগাড়ির ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয় হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেস। দু’জন যাত্রী মারা গিয়েছেন সেই ঘটনায়। জখম একাধিক। বারবার রেলপথে এরকম অঘটন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে তেলবোঝাই একটি মালগাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের অদূরে রাঙাপানি এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। দুটি ওয়াগন রেললাইন থেকে নীচে নেমে যায়। বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। হতাহতেরও খবর নেই। কিন্তু দেড় মাস আগে ওই জায়গায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা এবং মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে হাওড়া-মুম্বই মেলের দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে এই বেলাইনের ঘটনা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মালগাড়িটিকে সরিয়ে রেললাইন সারানোর কাজে হাত লাগানো হয়েছে। তবে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনার পরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) তিনি লেখেন, ‘‘মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়েছিল রাঙাপানিতে। সেখানে আবারও রেল দুর্ঘটনা! যা ঘটছে, তা নিয়ে আমরা অত্যন্ত চিন্তিত।’’
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, বুধবারের দুর্ঘটনার পরে শিলিগুড়ি-বাগডোগরা লাইন দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু ট্রেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘মালগাড়ির দুটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। এর ফলে আপ এবং ডাউন লাইন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা শীঘ্রই পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’’