ছুটির আগেই সাত দিনে সরকারি হাসপাতাল থেকে উধাও ১২১ রোগী, মেদিনীপুরে শোরগোল!
হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ আগস্ট ২০২৪
একজন, দুজন, তিনজন, চারজন নন। গত সাতদিনে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ অন্তত শতাধিক রোগী। সেই রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে। সব মিলিয়ে গত সাতদিনে মেডিক্যাল কলেজ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন ১২১জন রোগী। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন রোগীরা যেভাবে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়েছেন তা উদ্বেগের।
কিন্তু হাসপাতালে তো চিকিৎসা করানোর জন্য় আসেন রোগীরা। সেই চিকিৎসা যথাযথভাবে না করিয়েই তাঁরা কেন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন? আর হাসপাতাল থেকে ছুটি নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা বিশেষ নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই হাসপাতাল থেকে কাউকে বাড়ি ফিরতে হয়। কিন্তু রোগীদের অনেকেই সেই নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। তাঁরা দলে দলে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যাাচ্ছেন কোথায়?
পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে কেবলমাত্র সোমবারই ২০জন রোগী হাসপাতাল থেকে কাউকে কিছু না বলেই উধাও হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ বিভাগে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের মধ্য়েই অনেকে হাসপাতাল থেকে কাউকে কিছু না বলেই চলে গিয়েছেন।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মেদিনীপুর হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা যথাযথ হয় না। সেকারণেই তারা পালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে হাসপাতাল থেকে কোনও রোগী পালিয়ে গেলে নিয়ম মেনে পুলিশের কাছে জানাতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। সেটাই করা হচ্ছে। কারণ যতক্ষণ হাসপাতালে রয়েছেন কোনও রোগী ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের দায়িত্ব হাসপাতালেরই। সেক্ষেত্রে কাদের গাফিলতির জেরে এই শতাধিক রোগী হাসপাতাল থেকে চলে যাচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে এভাবে দলে দলে রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে কাউকে কিছু না বলে চলে যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকেভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। কারণ বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবায় তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়ে অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে পালাচ্ছেন।
আসলে অনেকের মতে, হাসপাতালে রোগীরা রোগ সারানোর জন্যই আসেন। কিন্তু চিকিৎসার হাল দেখে হতাশ রোগীরা। সেক্ষেত্রে অনেকের মধ্য়েই ধারনা হচ্ছে যে সরকারি হাসপাতালে রোগ সারানো সম্ভব নয়। উলটে রোগ বেড়ে যেতে পারে। সেকারণে এবার কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে গুটি গুটি বেরিয়ে পড়ছেন রোগীদের একাংশ। এবার প্রশ্ন হাসপাতাল থেকে দলে দলে রোগীরা বেরিয়ে পড়ছেন। হাসাপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে এত রোগী বেরোচ্ছেন কীভাবে? ওয়ার্ড থেকে এত রোগী উধাও হয়ে গেল? কেন নজরদারি নেই হাসপাতালের?