দুর্গাপুরে নজরুল সরণির ত্রিফলা আর জ্বলে না, অন্ধকারে দুর্ভোগ বাসিন্দাদের
বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে সিটিসেন্টারের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নজরুল সরণির উপর বসানো ত্রিফলা বাতিগুলি অকেজো। তার জন্য দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। অভিযোগ, সিটিসেন্টার বাসস্ট্যান্ড থেকে অম্বুজা নগরী, ডক্টর কলোনি সহ বেশ কয়েকটি অভিজাত এলাকায় যাওয়ার প্রধান রাস্তা নজরুল সরণি। ওই রাস্তাটি সন্ধ্যে হলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। ফলে পথচারী সহ এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্য দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করছেন। মহিলারা যাতায়াতের সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পাশাপাশি অন্ধকারের সুযোগে রাস্তার পাশেই গাছের তলায় অশ্লীলভাবে বসে থাকছেন প্রেমিক যুগলরা। পথচারীদের কাছে ওই দৃশ্য দৃষ্টিকটু হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। পথচারীদের দাবি, অবিলম্বে ওই রাস্তার পথবাতি সংস্কার করুক পুরসভা। পুরসভার দাবি, ইতিমধ্যেই অকেজো ত্রিফলা লাইট বাতিল করে ওই রাস্তার জন্য আধুনিক উজ্জ্বল বাতিস্তম্ভ বরাদ্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিটি সেন্টারে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, কোর্ট কাছারি থাকায় দিনের বেলায় বহিরাগত বহু মানুষজন কর্মসূত্রে ভিড় করেন। তাই সিটিসেন্টার জনবসতিপূর্ণ এলাকা হলেও সন্ধ্যে হতেই প্রায়ই জনশূন্য হয়ে যায়। এলাকায় থাকা দু’টি বেসরকারি মলকে কেন্দ্র করে রাতের দিকে একটু ভিড় থাকে কয়েকটি রাস্তায়। বাকি রাস্তাঘাট প্রায়শই জনশূন্য হয়ে যায়। এরই মধ্যে জনশূন্য এলাকার নজরুল সরণি রাস্তার অন্ধকার হয়ে থাকে। তৃণমূল সরকার আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরকে সৌন্দর্যায়নে মুড়তে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ রাস্তার পাশে বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো ২০১২ সালে কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরে ত্রিফলা বাতি বসানো হয়। দুর্গাপুর পুরসভা থেকেও নজরুল সরণি রাস্তায় প্রায় ৩০-৩৫টি ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বসানো হয়। একটি স্তম্ভে তিনটি করে বাতি ছিল। ওই বাতির উজ্জ্বলতা কম থাকায় রাস্তা খুব একটা আলোকিত হতো না। এরপর বাতিগুলি একটা একটা করে নষ্ট হয়ে যায়। পুরসভা মেরামতি করলেও অধিকাংশ দিনই অকেজো হয়ে থাকে ত্রিফলা বাতি।
পথচারী আবীর মুখোপাধ্যায় ও মোনালিসা মণ্ডল বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টারের মতো এলাকায় ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পথবাতির অভাবে অন্ধকার থাকে। পথবাতি থাকলেও সেগুলি মেরামতি ও সংস্কার করা হয় না। দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপের আতঙ্ক নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আবার অন্ধকার নামতেই ওই রাস্তার পাশে প্রেমিক যুগলদের ভিড় বাড়ছে। তাদের অশ্লীল দৃশ্য দৃষ্টিকটু হয়ে উঠেছে। দ্রুত পথবাতিগুলি সংস্কার করা উচিত। তা না হলে যেকোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ আসছিল। আমরা ওই রাস্তায় থাকা ত্রিফলা বাতি সরিয়ে দেব। ইতিমধ্যেই আধুনিক পথবাতি বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে। ওই রাস্তায় প্রায় ৩৫টি পথবাতি নতুন করে বসানো হবে।-নিজস্ব চিত্র