• মহাকাশ গবেষণায় আগ্রহী করতে কলকাতায় ইসরো সেন্টার ভ্রমণ
    বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: চাঁদ মামাকে জয় করা গিয়েছে। তারপর থেকে ইসরো নিয়ে আরও আগ্রহ বেড়েছে। নতুন নতুন টার্গেটে পৌঁছতে চাইছে এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। নতুন প্রজন্মও যাতে মহাকাশ গবেষণার প্রতি আগ্রহী হয়, তারই ব্যবস্থা করল আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন। বুধবার আরামবাগ কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্র ও মহকুমা শাসকের দপ্তরের উদ্যোগে আরামবাগের তিন স্কুলের পড়ুয়াদের কলকাতায় ইসরো সেন্টারে ভ্রমণ করানো হয়। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি অভিজ্ঞ বিজ্ঞানীদের কথাবার্তাও হয়েছে। এতে উৎসাহিত পড়ুয়ারা। 


    আরামবাগের জেলা কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রের ডেপুটি ডিরেক্টর ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত বলেন, অনেক পড়ুয়ার মনেই স্পেস সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার সুপ্ত বাসনা থাকে। কিন্তু, সঠিক সুযোগ ও গাইডেন্স পায় না অনেকেই। তারফলে তাঁদের অন্য পথে পড়াশোনা করতে হয়। অনেকে ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাতেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। অথচ তার বাইরেও স্পেস সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা ও চাকরিতে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা রয়েছে। পড়ুয়ারা যাতে এনিয়ে স্কুলে পাড়াকালীনই সম্যক ধারণা পায়, সেইজন্যই তাদের কলকাতায় ইসরোর সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। 


    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ বয়েজ হাইস্কুল, আরামবাগ গার্লস হাইস্কুল ও জয়রামপুর নেতাজি হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ২৬ জন ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষামূলক এই ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে তাদের কলকাতার নিউটাউনে ইসরোর ইস্টার্ন জোনের রিজিওনাল রিমোট সেনসিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও অনেকে ছিলেন।  


    মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরো থেকে পাঠানো হয়েছে চন্দ্রযান। সেই চন্দ্রযানের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। তার সাফল্যে গর্বিত প্রত্যেক ভারতবাসী। ইসরো থেকে চন্দ্রযান উৎক্ষেপনে জড়িত ছিলেন বহু বিজ্ঞানী। তাঁদের অনেকেই আবার পশ্চিমবঙ্গেরই বাসিন্দা। টিভিতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দেখেছেন চন্দ্রযানের ‘অভিযান’। ছাত্রছাত্রীরাও গভীর আগ্রহে দেখেছেন সেই মুহূর্ত। সেই থেকেই অনেকেরই স্পেস সায়েন্স নিয়ে পড়ার আগ্রহ বেড়েছে। কিন্তু গ্রাম, মফস্‌সল থেকে স্পেস সায়েন্স নিয়ে পড়ার সুযোগ বা প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেতে গিয়ে বিপাকে পড়েন অনেকেই। আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন ও জেলা কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্র সেই ব্যাপারে সাহায্য করবে।


    জেলা কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রের দাবি, গত বছর পড়ুয়াদের কয়েকজনকে ন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পড়ুয়ারা অভিজ্ঞদের সঙ্গে কথা বার্তা বলেছেন। এবার ইসরো সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হল।  আরামবাগ হাইস্কুলের ছাত্র ঋতম মাজি বলে, আমরা চন্দ্রযান টিভিতে দেখেছিলাম। কিন্তু এদিন কলকাতায় ইসরো সেন্টারে এসে চন্দ্রযানের মডেল দেখলাম। এটা আমাদের কাছে বাড়তি পাওনা। আমার স্পেস সায়েন্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে এদিনের ভ্রমণ আমার কাজে লাগবে। এদিন সেখানে গিয়ে আমাদের ভালো লেগেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)