নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পানীয় জলের অপচয় রুখতে কড়া আইনি পথে হাঁটার চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর (পিএইচই)। এই বিষয়ে বিধানসভায় একটি বিলও আনবে সরকার।
প্রশাসনের নজর এসেছে, রাজ্যজুড়ে পানীয় জলের অপচয় করা হচ্ছে নানাভাবে। কিছু জায়গায় গবাদি পশুপালনেও পানীয় জল ব্যবহার করা হচ্ছে! আবার কোথাও পানীয় জল ব্যবহৃত হচ্ছে হ্যাচারি, পোলট্রি, এমনকী পুকুরে মাছচাষে এবং আরও নানাবিধ ব্যবসায়িক কাজে। এমনও অভিযোগ রয়েছে, পানীয় জল ব্যবহার করা হচ্ছে চাষের কাজে। কিন্তু চাষের জন্য সেখানেই আলাদা জলের ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ পানীয় জলের অপচয় হচ্ছে নানাভাবেই, মত প্রশাসনের আধিকারিকদের। এমতাবস্থায় প্রশাসনের আধিকারিকরা চাইছেন, পানীয় জল শুধুমাত্র খাবার কাজেই ব্যবহৃত হবে, অন্যকোনও কাজে তা ব্যবহার করা যাবে না। এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর যেমন জোর দিচ্ছে পিএইচই, তেমনই আরও কড়া পদক্ষেপের কথা বুধবার বিধানসভায় জানান বিভাগীয় মন্ত্রী পুলক রায়। তাঁর বক্তব্য, জলের অপচয় রোধে আইন প্রণয়নের ভাবনাচিন্তা চলছে। বিলে কী ধরনের পদক্ষেপ থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
এদিকে উত্তরবঙ্গের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ডাবগ্রাম ও তার লাগোয়া এলাকায় পাঁচটি পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তাতে খরচ হবে ৫২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। ওই এলাকার মোট ৩১,১৩৭টি পরিবারে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যে ৯০ লক্ষাধিক পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে দিয়েছে দপ্তর। জুন ও জুলাই মাসে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে। প্রকল্পগুলি চালাতে এবং রক্ষণাবেক্ষণে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকার ৪,১৬০ কোটি টাকা খরচ করেছে। রাজ্যের অভিযোগ, তা সত্ত্বেও মোদি সরকার বাংলার সঙ্গে আর্থিক বঞ্চনা করেই চলেছে।