বঞ্চনা নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব অভিষেক, শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তৃণমূলের
বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি ও কলকাতা: গত লোকসভা নির্বাচনের সময় ছবিটা ছিল আলাদা। সেই পরিস্থিতি আর নেই। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনী ফলাফলে একটা বিষয় স্পষ্ট—শক্তি হারিয়েছে বিজেপি। দুর্বল হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এই সুযোগে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরতে সংসদে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নরেন্দ্র মোদিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে আর হকের টাকা আটকে বাংলাকে জব্দ করতে পারবেন না মোদি। আমাদের সরকার গরিবদের প্রাপ্য মেটাচ্ছে।’
বকেয়া প্রসঙ্গে কড়া ভাষায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। অভিষেক বলেন, ‘আবাস যোজনা বা সড়কের মতো ক্ষেত্রে রাজ্যকেও অংশীদারির টাকা দিতে হয়। সেই প্রকল্প কেন প্রধানমন্ত্রীর নামে হবে? কেন্দ্র যতই বলুক, আমরা ‘বাংলার বাড়ি’ নাম বদলাব না।’ বিধানসভা ভোটে হারার পর থেকে রাজ্যকে কত টাকা দিয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্র শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক বলেও চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন তিনি। দিল্লির পাশাপাশি রাজ্যেও এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, মিথ্যাচার না করে ২০২১ সালের ভোটের পর বাংলাকে দেওয়া ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার টাকা সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক বিজেপি।
এদিকে, রাজ্যসভায় অমিত শাহ জানিয়েছেন, মোট বরাদ্দ ৬ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা হলেও রাজ্যের খরচের হিসেব পেয়ে গত ১০ বছরে ৪ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তৃণমূল শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তোলার পরেই কি মুখ বাঁচাতে তড়িঘড়ি এই হিসেব পেশ করলেন অমিত শাহ?
প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর’ বড়াই নিয়েও আক্রমণ শানান অভিষেক। জানান, মুখে আত্মনির্ভরতার কথা বলেন মোদি। কিন্তু চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমারের মতো দুই শরিক নিয়ে তিনি নিজেই এখন পরনির্ভর। টাকা আটকে বাংলাকে দুর্বল করা যাবে না। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ‘হিসেব’, মোদির এই সরকারের মেয়াদ এক বছর। লোকসভা ভোটে মানুষ সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। বিজেপির ভিত নড়ে গিয়েছে। চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পরই সরকারে দুই শরিকদের মধ্যে থেকেই কোনও না কোনও গোলমালে পড়বে সরকার।