• অতি বিরল রোগে আক্রান্ত বারাসতের সিকন্দরকে নয়া জীবন দিল আর জি কর
    বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রতি ১০ লক্ষে হয় একজনের! বিচিত্র অসুখটি এতটাই বিরল প্রকৃতির। হার্টে ফুটো রয়েছে, এমন রোগী প্রায়শই পাওয়া যায়। আবার হার্টের মাইট্রাল ভালভ খারাপ—এমন ঘটনাও বিরল নয়। কিন্তু একই শরীরে যদি দু’টি সমস্যাই থাকে, তখন তা হয়ে ওঠে অতিবিরল ‘লুটেমবাচের সিনড্রম’। ঠিক যেমনটা হয়েছে বারাসতের সিকন্দর আলির। ৫৬ বছরের সিকন্দরের হৃদযন্ত্রের দুই অলিন্দের মাঝে ছিল বড় সাইজের (২৮ মিমি) ফুটো। চিকিৎসকদের পরিভাষায় ‘এট্রিয়াল সেপটাল ডিফেক্ট’ বা এএসডি। মারাত্মক এই সমস্যায় হার্টে বিশুদ্ধ ও দূষিত রক্ত মিশতে থাকে। হার্টের মাইট্রাল ভালভটিও সংকুচিত হয়ে খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এই সমস্যায় আবার হার্টের বাম অলিন্দ থেকে বাম নিলয়ে বিশুদ্ধ রক্ত যেতেই পারে না। প্রাণঘাতী সঙ্কট তৈরি হয়। প্রবল শ্বাসকষ্ট হওয়ায় দেড় মাস আগে সিকন্দর ভর্তি হন আর জি কর-এর হৃদরোগ বিভাগে। সরকারের কাছে আবেদন করে বিশেষ বেলুন ও চিকিৎসার যন্ত্র আনানোর ব্যবস্থা করেন চিকিৎসকরা। দু’দফায় হয় অপারেশন। 


    প্রথম দফায় ক্যাথেটার দিয়ে বেলুন ঢুকিয়ে মাইট্রাল ভালভের ‘বেলুন মাইট্রাল ভালভুলোপ্লাস্টি’ করা হয়। খুলে যায় সংকুচিত ভালভ। সোমবার হয় দ্বিতীয় দফার প্রসিডিওর। এএসডি চিকিৎসা যন্ত্র লাগিয়ে হার্টের ফুটো বন্ধ করা হয়। প্রথম পর্বের অপারেশনের সময় ডান পায়ের ধমনী ও শিরার মাঝে ফিসচুলা হয়েছিল। সেটিও বন্ধ করা হয় মাইক্রোসার্জারি করে। হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ চঞ্চলকুমার কুণ্ডুর নেতৃত্বে সাত তরুণ চিকিৎসক ও জুনিয়র ডাক্তার এই দু’টি কাজ সম্পন্ন করেন। ডাঃ কুণ্ডু বলেন, ‘জিনগত এই অসুখটি অতিবিরল। রোগীর বুক না কেটেই প্রসিডিওর হয়েছে। আইসিইউতে রাখারও দরকার পড়েনি। উনি ভালো আছেন। শীঘ্রই ছুটি পাবেন।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)