উদ্বোধনের কয়েক মাস পরেই তালা দেগঙ্গার কর্মতীর্থে, বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎও
বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ২০১৬ সালে উদ্বোধন হয়েছিল দেগঙ্গা থানার পাশে কর্মতীর্থের। কিছুদিন চালু থাকার পরই সেটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় আট বছর কেটে গেলেও এখনও তালা ঝুলছে কর্মতীর্থে। একপ্রকার পরিত্যক্ত অবস্থায় সেটি। চারিপাশে জমেছে আগাছা। নষ্ট হচ্ছে দেওয়ালের রং, দরজা-জানালা। দ্রুত চালু করা হোক এই কর্মতীর্থ ভবন, এমনটাই চাইছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বেকার যুবদের স্বনির্ভর করতে কর্মতীর্থ প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো দেগঙ্গা থানার পাশে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার কর্মতীর্থ নির্মাণ করে। দোতলা এই কর্মতীর্থে মোট ৩৩টি স্টল রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের জন্য সংরক্ষিত চারটি স্টল বাদ দিয়ে বাকি স্টল উপভোক্তাদের লটারির মাধ্যমে বণ্টন করে প্রশাসন। ২০১৬ সালে বারাসতে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। কর্মতীর্থ দেখভালের জন্য উপভোক্তাদের নিয়ে ১০ জনের একটি কমিটিও তৈরি হয়। জাঁকজমক করে উদ্বোধন হলেও মাত্র দু’টি ছাড়া আর একটি স্টলও বণ্টন হয়নি বলেই অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, উদ্বোধনী খরচ ও বিদ্যুতের বিল মেটানোর জন্য উপভোক্তাদের নিয়ে তৈরি করা কমিটিকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছিল সরকার। প্রথমে কয়েক মাস বিদ্যুতের বিল জমা পড়লেও এখন তা অনেকটাই বকেয়া। বিদ্যুৎ দপ্তর বারবার বিল দেওয়ার কথা বললেও বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তর দেগঙ্গার কর্মতীর্থের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ফলে অন্ধকারে ডুবে গোটা কর্মতীর্থ।
এনিয়ে দেগঙ্গার বিডিও ফাহিম আলম বলেন, দ্রুত কর্মতীর্থটি চালু হবে। এ বিষয়ে উপভোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিছু সমস্যা রয়েছে। তা মেটানোর কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র