ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া শূন্য বাঁকুড়ায় পুর কর্মীদের সমীক্ষায় বাধা
বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: গত ছ’মাসে বাঁকুড়া শহরে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। তারপরেও জমা জল নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন। শহরের বেশকিছু বাড়িতে পুর কর্মীদের সমীক্ষা চালাতে দেওয়া হয়নি বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ফলে যে কোনও সময় মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরসভার তরফে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারের লক্ষ্যে ট্যাবলো নিয়ে শুরু হয়েছে শোভাযাত্রা। পাশাপাশি মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ৩৬ হাজার ৫০০ গাপ্পি মাছের চারা ছাড়া হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন জলাশয় ও নিকাশি নালায় ওই মাছ ছাড়া হচ্ছে। বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার বলেন, গত জানুয়ারি মাসে শহরে ছ’জনের ডেঙ্গু হয়েছিল। তারমধ্যে বাইরে থেকে তিনজন এসেছিলেন। পরে সকলেই সুস্থ হয়ে যান। গত ছ’মাসে শহরে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ায় কেউ আক্রান্ত হয়নি। জ্বর বা মশাবাহিত রোগের অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আসা লোকজনের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। গড়ে দৈনিক ১০ জনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। মৎস্য দপ্তর আমাদের সাড়ে ৩৬ হাজার গাপ্পি মাছের চারা দিয়েছে। তা জলাশয় ও নিকাশি নালাগুলিতে ছাড়া হচ্ছে।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হীরালাল চট্টরাজ বলেন, পুরকর্মীরা বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার জন্য গিয়ে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকেই বন্ধ বাড়ি বা বাগানের দরজার তালা খুলতে চাইছেন না। ফলে সেখানে জল জমছে কি না তা বোঝা যাচ্ছে না। এভাবে চললে ভবিষ্যতে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমরা একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।