• খয়রাশোলে ধরপাকড় পুলিসের আগ্নেয়াস্ত্র সহ পাকড়াও দুষ্কৃতী
    বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: বেশ কয়েকদিন ধরেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিস। রবিবার খয়রাশোলে আগ্নেয়াস্ত্রের দুই কারবারিকে গ্রেপ্তার করে অত্যাধুনিক বন্দুক উদ্ধার হয়। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিস খোঁজখবর চালাচ্ছে। এই সুযোগে বাড়ির গোপন আস্তানায় থাকা আগ্নেয়াস্ত্র অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলার সুযোগ খুঁজছে দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র হাতবদল করার আগেই একজনকে হাতেনাতে পাকড়াও করল দুবরাজপুর থানার পুলিস। একটি ডাবল বারেল রাইফেল ও ছ’রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। সেইসঙ্গে ৭ রাউন্ড গুলিভর্তি সেভেন এমএম পিস্তলও উদ্ধার হয়েছে। সে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস।


    জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ আইনুল। বাড়ি খয়রাশোলের ঈদলপুর গ্রামে। সে তার এক সহযোগীকে ওই রাইফেল ও গুলি বিক্রি করতে এসেছিল বলে পুলিসের কাছে স্বীকার করেছে। এমনিতে খয়রাশোল ও দুবরাজপুর পাশাপাশি এলাকা। বেশ কিছুদিন ধরেই খয়রাশোলে পুলিস আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করছে। এতে অনেকেই তাদের কাছে থাকা পিস্তল, গুলি কোনও ‘সেফ’ জায়গায় পাচারের মতলব কষছে। সেইমতো আইনুলও তার কাছে থাকা রাইফেল, গুলি দুবরাজপুরের অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল। পুলিস গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে যায়। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ জাতীয় সড়ক থেকে গড়গড়া গ্রামের দিকে যাওয়ার রাস্তায় আইনুলকে আটক করে পুলিস। সে ব্যাগের ভিতর বন্দুকগুলি লুকিয়ে রেখেছিল। পুলিস সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে। আগ্নেয়াস্ত্রগুলির বাজার মূল্য দু’লক্ষ টাকারও বেশি বলে অনুমান করা হচ্ছে। আইনুল কার হাতে সেগুলি তুলে দিত সেটাই খতিয়ে দেখছে পুলিস।  পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোল, দুবরাজপুর, লোকপুর, কাঁকরতলা এলাকার বহু জায়গায় এখনও আগ্নেয়াস্ত্র লুকনো রয়েছে। যা একসময় রাজনৈতিক দলগুলির আশ্রয়ে থাকত। পরে তা হাতবদল হতে হতে এলাকার বহু দুষ্কৃতীদের কাছে গিয়েছে। পুলিস মাঝেমধ্যে তাদের থেকে এসব উদ্ধার করছে ঠিকই কিন্তু এখনও আগ্নেয়াস্ত্র বাড়িতেই রাখে অনেক দুষ্কৃতী। সেগুলি অশান্তি, ছিনতাই সহ নানা অপরাধের কাজে ব্যবহার করা হয়। ধৃত আইনুলকে বুধবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্রপ্রসাদ দে বলেন, ধৃতকে চারদিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জেলা পুলিসের এক অফিসার বলেন, আমরা বিভিন্ন সূত্র কাজে লাগিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করছি। ঝাড়খণ্ড সীমানা এই থানা এলাকাগুলির খুব কাছে হওয়ায় দুষ্কৃতীরা কিছু সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিটি থানাই সক্রিয় রয়েছে। মাত্র কয়েক মাসেই ১০টির বেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল।  উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)