মাদক পাচার, সাইবার ক্রাইম বন্ধ করতে সচেতনতায় জোর পুলিসের
বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদকের রমরমা বেড়েছে। একদিকে মাদক পাচারের করিডর হিসেবে কোচবিহারকে ব্যবহার করা হচ্ছে, অন্যদিকে শহরেই চলছে মাদকসেবন। বিশেষ করে শহরের তোর্সা বাঁধ সংলগ্ন এলাকা, টাকাগাছ-রাজারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত, শুনশুনি বাজার এলাকাজুড়ে মাদকের প্রকোপ বেড়েছে। পুলিসের কাছেও এমন খবর রয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস শুনশুনি বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু সেখান থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিস। শহর লাগোয়া ওই সমস্ত এলাকায় কোথা থেকে ব্রাউন সুগার, গাঁজা সহ অন্যান্য মাদক আসছে সেই বিষয়ে পুলিসের আরও কড়া নজর রাখা উচিত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পুলিস জেলাজুড়ে মাদক বিরোধী অভিযান, সচেতনতা শিবির চালাচ্ছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সাইবার ক্রাইম রুখতেও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। বুধবারও কোচবিহারের উৎসব অডিটোরিয়ামে তিনটি স্বল্প দৈর্ঘের সিনেমা দেখানো হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা, মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ গড়াই, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার চন্দন দাস এবং কোচবিহার কোতোয়ালি থানার আইসি তপন পাল।
উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে গোপন খবরের ভিত্তিতে আমাদের অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে। মাদক, সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারও চলছে।
দিন কয়েক আগেই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে কোচবিহারে ধরা পড়েছিল বিপুল পরিমাণ কাফ সিরাপ। ৩৭ হাজার ৫০০ বোতল কাফ সিরাপের বাজারমূল্য ছিল পাঁচ কোটি টাকা। তারও আগে কোচবিহারের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকের টায়ারের ভিতরে লুকিয়ে রাখা মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল। জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাচারের সময় গাঁজা, নেশার সামগ্রী ধরা পড়েছে। কোচবিহারের বিভিন্ন থানা এলাকায় প্রচুর পরিমাণ গাঁজা চাষ হয়। পুলিস হাজার হাজার বিঘা গাঁজা চাষ নষ্ট করেছে। একই ভাবে পপি খেত নষ্ট করেছে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও শহরাঞ্চলে কোথা থেকে মাদক ঢুকছে, তা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।