• বর্জ্যের স্তূপে দূষিত হচ্ছে কালজানি, নজরদারির দাবি
    বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে রাতের অন্ধকারে কালজানি নদীবাঁধের ধারে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। সেই বর্জ্যে দূষিত হয়ে উঠছে কালজানির জল। ঘটনায় শহরের বাসিন্দারা পুরসভাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার নজরদারি না থাকাতেই রাতের অন্ধকারে এভাবে নদীবাঁধের ধারে বর্জ্য ফেলার সাহস পাচ্ছে অনেকে। দাবি উঠেছে, বর্জ্যের দূষণ থেকে কালজানি নদীকে বাঁচাতে নজরদারি চালাক পুরসভা। 

    পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর অবশ্য বলেন, পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ ঠিক নয়। রাতের অন্ধকারে কেউ যাতে বর্জ্য না ফেলেন, তারজন্য কালজানি নদীবাঁধের ফাঁকা জায়গাগুলিতে পুরসভার পক্ষ থেকে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়েছে। রাতে বর্জ্য ফেলা রুখতে নজরদারি চালানো যায় কি না, এবার তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    জেলা শহর ঢোকার মুখে কালজানি সেতু থেকে ডিমা সেতু পর্যন্ত নদীবাঁধের উপর পাকা রাস্তা করা হয়েছে। শহরের যানজট এড়াতে বাঁধের রাস্তা বাইপাস হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সেই বাঁধের পাশে ফেলা বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে কালজানি নদীর জল। ওই বর্জ্যের গন্ধ ছড়াচ্ছে আশপাশের জনবসতি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাতের অন্ধকারে চুপিসারে অনেকেই বাঁধের পাশে এভাবে বর্জ্য ফেলে চলে যায়। পুরসভাকে বারবার বলার পরেও বর্জ্য ফেলা বন্ধ হচ্ছে না। শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার রাতুল বিশ্বাস বলেন, পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু হওয়ার পরেও এভাবে নদীবাঁধে বর্জ্য ফেলার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এতে কালজানির জল দূষিত হচ্ছে। পুরসভার উচিত এবিষয়ে নজরদারির ব্যবস্থা করা। 

    পুরসভার ভারপ্রাপ্ত স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুময় চক্রবর্তী বলেন, ‘রাতে নজরদারি চালিয়ে কয়েকজনকে ধরাও হয়েছিল। জরিমানাও করা হয়েছিল। নদীবাঁধে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে ফের নজরদারি চালানো হবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)