নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: এবার পুজোয় দার্জিলিং পাহাড়ে আসা পর্যটকদের জন্য দু’জোড়া উপহার দিচ্ছে পর্যটন দপ্তর। অনলাইনেই মিলবে পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কের টিকিট। অন্যদিকে, সান্দাকফুতে পর্যটকদের জন্য চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। এছাড়াও কার্শিয়াংয়ের হনুমান টপের কাছে চালু হচ্ছে স্কাই ওয়াক, তাগদায় পর্যটকদের বিনোদনের জন্য একটি রক গার্ডেন তৈরি করেছে পর্যটনদপ্তর। এসব ছাড়াও আরও একগুচ্ছ উপহার থাকছে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য। দার্জিলিং পাহাড়ের বেশ কিছু অফবিট ডেস্টিনেশন পর্যটকদের সামনে তুলে ধরবে পর্যটন দপ্তর। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের প্রচার ও প্রসারে দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাহাড় ও সমতল সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে দার্জিলিং জেলার ন’টি ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল। বৈঠকে পাহাড়ের জিটিএ কর্তৃপক্ষও উপস্থিত ছিল। সেখানে পর্যটনের উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন জেলাশাসক। জিটিএ’র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘সান্দাকফু পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি স্পট। তবে পথ বিপদসঙ্কুল। অনেক সময় পর্যটকরা সেখানে গিয়ে প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিপদে পড়েন। তাই আসন্ন পর্যটন মরশুম থেকে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে সেখানে একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে। এছাড়া পর্যটনের ভরা মরশুমে দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু পার্কে টিকিটের জন্য আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। আমরা অনলাইন পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই তা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে।’ পাহাড়কে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ শুরু হলেও দার্জিলিংয়ের যানজট সবার কাছে বড় দুর্ভোগের কারণ। এই সমস্যা সমাধানই প্রশাসন ও জিটিএর কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পর্যটন মরশুমে দার্জিলিং পাহাড়ে প্রতিদিন গড়ে ২৫ হাজার গাড়ি প্রবেশ করেছে। দার্জিলিংয়ের যে রাস্তায় প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার গাড়ি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে, সেখানে গড়ে ২৫ হাজার গাড়ি চলাচল করায় যানজট সমস্যা হয়েছিল। এবার পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এই সমস্যা সমাধানের উপায় খোঁজা হবে বলে জিটিএর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন।