সেচদপ্তরের খালপাড় দখল করে দোকান, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরাট বাড়ি
বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, বারুইপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জায়গা দখল করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তারপরেও বারুইপুরের উত্তরভাগ থেকে পিয়ালি পর্যন্ত সেচদপ্তরের খালের দুই পাড় দখল করে একের পর এক দোকান, রেস্তরাঁ, বাড়ি দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এমনকী পিয়ালি রেল সেতুর তলায় খালের উপরে মাটি ফেলে বানিয়ে নেওয়া হয়েছে অটো স্ট্যান্ড। খাল পাড়েই আছে শাসকদলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরাট ভবন থেকে খোদ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধানের বাড়ি। এই এলাকা বেগমপুর ও চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। এইভাবে খালের দুই পাড় দখল হওয়ায় জলনিকাশি সমস্যায় জর্জরিত এলাকা। এই প্রসঙ্গে বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার বলেন, সেচদপ্তরকে বিষয়টি আগেই জানানো হয়েছে।
এক সময়ে এই পিয়ালি খাল ছিল বিদ্যাধরী নদীর অংশ। পরবর্তীকালে তা মজে যায়। উত্তরভাগ থেকে বেরিয়ে সোজা পিয়ালি স্টেশনের দিকে রাস্তা ধরে এগলে দেখা যাবে, কীভাবে পিয়ালি খালপাড় দখল হয়েছে। এই জায়গাতেই স্থানীয় বিধায়কের নোটিস রয়েছে। তাতে লেখা, পিয়ালি বাজার থেকে উত্তরভাগ পর্যন্ত মজে যাওয়া পিয়ালি খাল ফের সংস্কার করা হবে। সেই কারণে পিয়ালি খালপাড় কেউ দখল করবেন না।
বাসিন্দারা বলেন, বিধায়কের নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার করে চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের সদস্য দেবপ্রসাদ জোয়ারদারের বিরাট ভবন গড়ে উঠেছে। যদিও ওই সদস্য বলেন, সব প্রশাসনকে জানানো আছে। এই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান রাধা বিশ্বাসের বাড়িও খাল পাড়ে। তিনি বলেন, এই বিষয়ে কিছু বলব না। এই খালের উপর মাটি ফেলে দুই পাড়ে পারাপারের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। খালপাড়ে থাকা দোকানদাররা বলেন, আমরা তো নিয়মিত স্থানীয় পঞ্চায়েতকে কর দিই। পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন কেউ কোনও আপত্তি জানায়নি। নিজস্ব চিত্র