উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের কাছে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন এই গেরুয়া প্রার্থী । রেখা ছাড়াও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন বিজেপির কোচবিহারের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক, ঘাটালের প্রার্থী হিরণ, ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিজিৎ দাস, আরামবাগ থেকে অরূপকান্তি দিগর। লোকসভা নির্বাচনের পর ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির পাঁচ পরাজিত প্রার্থী। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম পাঁচটি মামলা পাঁচটি পৃথক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। রেখা পাত্রের মামলা রয়েছে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে।রেখার দায়ের করা ওই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নোটিস জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
একই সঙ্গে ইভিএম, ব্যালট, সিসিটিভি, ডিভিআর, নির্বাচনী সমস্ত কাগজপত্র সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও।এবারে লোকসভা নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বসিরহাট। সেখানে বিজেপি প্রার্থী করেছিল সন্দেশখালির অন্যতম প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে। কিন্তু তৃণমূলের হাজি নুরুলের কাছে তিনি বিপুল ভোটে হেরে যান। এরপরই ভোট কারচুপির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রেখা।তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে কারচুপি ও মনোনয়ন পত্র সংক্রান্ত অভিযোগও এনেছিলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তাঁর দাবি, হাজির হলফনামায় ত্রুটি ছিল, নো ডিউজ সার্টিফিকেট ছিল না।হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে বিজেপি অভিযোগ করেছিল, পঞ্চদশ লোকসভার সদস্য নুরুল এবারে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৭ মে।
কিন্তু পঞ্চদশ লোকসভা শেষ হয়েছে ২০১৪ সালের ১৮ মে। অর্থাৎ তাঁর ১০ বছর পূর্ণ হয়নি। তার আগেই তিনি মনোনয়ন পেশ করেছেন। এক্ষেত্রে তাঁর ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি দেননি।চলতি বছরের শুরু থেকে সন্দেশখালি হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। নারীদের ওপর নির্যাতনের একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে সেখানকার তৃণমূলের দাপুটে নেতাদের বিরুদ্ধে। রেখা পাত্রের দায়ের করা এফআইআর-এ গ্রেফতার হন শিবু হাজরা। সেই রেখা পাত্রকেই লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে বিজেপি। সন্দেশখালি বিধানসভা আসনে জিতলেও, গোটা লোকসভা কেন্দ্রে তিন লাখেরও বেশি ভোটে তৃণমূলের নেতা হাজি নুরুলের কাছে পরাজিত হন রেখা পাত্র।