• ১৫ বছরের পুরোনো বাসের বিদায় যাত্রা শুরু আজ থেকে
    এই সময় | ০১ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: আজ, বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা এবং শহরতলি এলাকায় একাধিক বাসের বিদায় যাত্রা শুরু হচ্ছে। গ্রিন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, যে সব বাসের বয়স ১৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে ১ তারিখ থেকে সেগুলি বসিয়ে দিতে হবে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, বর্তমানে কেএমডিএ এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো বেসরকারি বাস চলে।আদালতের নিষেধাজ্ঞার জেরে তার একটা বড় অংশই বসে যাবে। এর জেরে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে চলেছে কলকাতা-হাওড়া রুটে। এছাড়াও উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়া, বসিরহাট, অশোকনগর, বারাসাত, ব্যারাকপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমতলা, কাকদ্বীপ, ডায়মণ্ডহারবার এবং কলকাতা-বজবজ রুটের অধিকাংশ বাস আর রাস্তায় নামতে পারবে না। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে। কাজ হারাবেন এই সব বাসের কর্মীরাও।

    নবান্ন সূত্রের খবর, আদালত থেকে বাসের যে বয়সসীমা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে তা আরও দু’বছর বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিল বিভিন্ন বাস মালিক সংগঠন। কিন্তু এ ব্যাপারে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ না থাকায় রাজ্য সরকার সেই আবেদনে কোনও কর্ণপাত করেনি। পরিবহণ দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, আদালতের রায়কে মান্যতা দিয়ে যে সব বাসের বয়স ১৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে তাদের আর রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না। নিয়ম ভাঙলে গাড়ি সিজ করা হবে।

    এ অবস্থায় সরকার বিকল্প ব্যবস্থা কী করছে?

    রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘এখনই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে ২০০৯ সাল থেকে ধাপে ধাপে ১৫ বছরের বেশি বয়সের বাসকে স্ক্র্যাপ করা হচ্ছে। আবার গত পাঁচ বছরে প্রায় ১৪০০ বাস রাস্তায় নেমেছে। রাস্তায় এখন যথেষ্ট সংখ্যক বাস রয়েছে। কিছু বাস বসে গেলেও তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না।’

    পরিবহণ দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তার ব্যাখ্যা, ২০০৯ সালের ১ আগস্ট আদালতের রায় বেরলেও নতুন বাস নামতে আরও কয়েক মাস সময় লেগেছিল। সেই হিসেবে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে।

    পরিবহণ দপ্তরের খবর, বেসরকারি ক্যাব পরিবহণ সংস্থাগুলিও কলকাতার বিভিন্ন রুটে বাস পরিষেবা চালু করতে আগ্রহী। ইতিমধ্যেই সল্টলেক, নিউটাউন রুটে তারা পরীক্ষামূলক ভাবে বাস চালাচ্ছে। সেটাকে আরও সম্প্রসারিত করতে চাইছে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেই বিকল্প পথও খোলা রাখছে সরকার।

    বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গত ছ’বছর ধরে বাসের ভাড়া বাড়েনি। অথচ, ডিজেলের দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে নতুন বাস কেনার সাহস পাচ্ছে না মালিকরা। করোনার সময়ে দু’বছর বাস বন্ধ ছিল। তাই আমরা আরও দু’বছর মেয়াদ বাড়াতে বলেছিলাম। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শোনেনি।’
  • Link to this news (এই সময়)