এই সময়: ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম— এই নতুন তিন ফৌজদারি আইন ও কার্যবিধি এত তড়িঘড়ি লাগু না করে আরও বিশদে পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর কোনও উত্তর দেয়নি বলে বুধবার অভিযোগ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।গত ১ জুলাই থেকে এই নয়া ফৌজদারি আইন কার্যকর হয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, নয়া আইনের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসন, আইনজীবী মহল, বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি সড়গড় হতে পারেনি। তাই নতুন এই আইনগুলি রিভিউ করে দেখার সওয়াল করে বুধবার বিধানসভায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক প্রস্তাব পেশ করলেন। এ দিন সেই প্রস্তাবের উপরে আলোচনায় মমতার চিঠির উত্তর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর দেয়নি বলে চন্দ্রিমা অভিযোগ করেছেন।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর কথায়, ‘এই তিনটি আইনকে রিভিউ করার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছিলেন। আরও কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও চিঠি দিয়েছেন। এই আইনগুলি বাস্তবায়নের কী সমস্যা রয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়। কিন্তু কোনও জবাব আসেনি। কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপও করেনি।’ গত বছর সংসদে এই বিল পাশের সময়ে বিরোধীপক্ষের ১৪৭ জন এমপিকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
তাই তৃণমূল-সহ ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের অধিকাংশ দল মনে করে, যথেষ্ট আলোচনা ছাড়াই এই তিনটি বিল সংসদে পাশ করানো হয়েছে। নয়া ফৌজদারি আইন রিভিউয়ের দাবিতে রাজ্যের শাসক দল বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করলেও যথেষ্ট আলোচনা করেই এই আইন কার্যকর হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
বিধানসভায় বিজেপির সচেতক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, ‘এই আইনের খসড়া বিল প্রত্যেকটি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, বিভিন্ন আইন বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন দলের সাংসদ, বিধায়কদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। যখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে খসড়া বিল এসেছিল, তখন রাজ্য সরকার কী উত্তর দিয়েছিল, তা বিধানসভায় পেশ করা হোক। তা হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিল সংসদে পাশ হয়েছে।’