রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জন্মদিনে রাজ্য বিধানসভায় হাজির বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সটান চলে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে। শুভেন্দু তাঁকে মিষ্টিমুখ করালেন। উত্তরীয় পরিয়ে শুভেচ্ছাও জানালেন। অন্তত এমন একটি দৃশ্যপট তৈরি হল যাতে বোঝানো যায়, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়।’
বৃহস্পতিবার সকালে দিলীপবাবু বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ঘরে যান। ঘটনাচক্রে আজই মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদের জন্মদিন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikary) ঘরে যখন দিলীপ গেলেন, তখন সেখানে অগ্নিমিত্রা পল, শঙ্কর ঘোষের মতো বিধায়করা ছিলেন। দিলীপকে হাসিমুখেই স্বাগত জানান শুভেন্দু। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান দুই নেতা। দিলীপকে উত্তরীয় পরিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান বিরোধী দলনেতা।
রাজ্য বিজেপির অন্দরে তাঁদের সমীকরণ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। শোনা যায়, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী বাছাই থেকে রণকৌশল কোনও কিছুতেই দিলীপকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। গুরুত্ব পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। ভোটে পরাজয়ের পর এই দিলীপই সরাসরি নিশানা করেছিলেন শুভেন্দুদের। শুভেন্দু এবং দিলীপের বিভাজনও কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিনের সেই শৈত্য কাটাতেই কি এবার শুভেন্দুর ঘরে চলে গেলেন দিলীপ।
বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বেশ কিছুদিন ধরেই কোণঠাসা। এই মুহূর্তে দলের কোনও পদে নেই। লোকসভা নির্বাচনেও হেরে গিয়েছেন। অন্যদিকে শুভেন্দু এই মুহূর্তে বিরোধী দলনেতা। বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর অন্যতম। অনেকে মনে করেন, লোকসভায় বিজেপির (BJP) বিশ্রী ফলের কারণ দলের গোষ্ঠীকোন্দল। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দুই নেতার মিষ্টিমুখের পর দিলীপ-শুভেন্দু শৈত্য কি কমবে? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।