জন্মদিনে বিধানসভায় দিলীপ, মিষ্টিমুখ শুভেন্দুর, জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে
এই সময় | ০১ আগস্ট ২০২৪
বঙ্গ রাজনীতিতে 'বিরল ফ্রেম'! মিষ্টিমুখ শুভেন্দু অধিকারী-দিলীপ ঘোষের। তাও আবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার ঘরে। জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু, গেরুয়া শিবির নিখাদ ব্যাখ্যা দিয়েছে এই ফ্রেমের, দিলীপ ঘোষের জন্মদিন সেলিব্রেশন। ‘বার্থ ডে বয়’ এসেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে উত্তরীয় পরেছেন, তাঁর হাত থেকে মিষ্টি খেয়েছেন, ব্যাস! কিন্তু তাতে বিধানসভার অলিন্দে ফিসফাস বন্ধ হয়নি।রাজনৈতিক মহলের একাংশ মানছেন, বঙ্গ বিজেপির সফলতম রাজ্য সভাপতি এখনও পর্যন্ত দিলীপ ঘোষই। কিন্তু, এখন আর তিনি বিধানসভা বা সংসদের সদস্য নন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে নিজের খাস তালুক মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। পরাজিত হয়েছিলেন দিলীপ। 'জায়ান্ট কিলার' হিসেবে বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিত বেবাক নেতার পরাজয় নিয়ে চর্চাও হয় বিস্তর।
আপাতত তিনি বিজেপিতেও পদহীন। কিন্তু, বিধানসভা, পঞ্চায়ত এবং সর্বোপরি লোকসভায় যখন বিজেপি একের পর এক ধাক্কা খেয়েছে সেই সময় গেরুয়া গোষ্ঠীর আদি অংশের মুখে শোনা গিয়েছিল দিলীপে সুখ্যাতি। দিলীপের পদ খোয়ানো- মেদিনীপুর টু বর্ধমান দুর্গাপুর 'ট্রান্সফার'-এর নেপথ্যে কার হাত? তা নিয়ে ফিসফাস কম নয়। কিন্তু, বিষ্যুদবার বিধানসভার দৃশ্য সব পুরনো আলোচনাকে থামিয়ে নতুন করে প্রসঙ্গ উত্থাপনের জন্য যথেষ্ট বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
১ অগাস্ট দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। তিনি এ দিন বিধানসভায় গিয়ে বিরোধী দলনেতার ঘরে যান। সেখানেই তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন শুভেন্দু। তাঁকে মিষ্টিমুখও করিয়ে দেন তিনি।
আর এই সম্পর্ক সমীকরণে চোখ আটকেছে অনেকেরই। 'সব কা সাথ...', পোড়খাওয়া রাজনীতিকরা এ 'জটিল ধাঁধা' মেলাতে এই চেনা স্লোগানই বেছে নিয়েছেন। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ দলকে 'ডেডলাইন' দিয়েছিলেন। জুলাই মাসের শুরুতে তাঁর হুঙ্কার ছিল দু'মাসের মধ্যে দল দায়িত্ব না দিয়ে তিনি অন্য কাজ করবেন। এ দিকে, ‘সংখ্যালঘু মোর্চার কোনও প্রয়োজন নেই’, শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য আলোড়ন পড়েছিল রীতিমতো। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকিও এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সার্বিক প্রেক্ষাপটে দিলীপ-শুভেন্দুর ‘মিষ্টি’ ফ্রেম অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ, মত রাজনৈতিক মহলের।