হামলা সত্ত্বেও সীমান্তে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখলেন মহিলা BSF কনস্টেবল
হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ আগস্ট ২০২৪
ফের সীমান্তে বিএসএফের উপর হামলা চালাল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। আর এবার হামলা। বুধবার রাতে নদিয়ার রানাঘাট ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বর্ডার ফাঁড়ির কাছে সশস্ত্র বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা হামলা চালায়। তবে এবার এক মহিলা বিএসএফ কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। পালটা বিএসএফ অনুপ্রবেশকারীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মহিলা কনস্টেবলের সাহসিকতার জন্য অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকতে পারেনি।
বিএসএফ সূত্রের খবর, সীমান্তে কর্তব্যরত ছিলেন ওই মহিলা কনস্টেবল। তিনি দেখেন ১৩-১৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সীমান্তের কাঁটা তার পেরিয়ে ভারতের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করছে। বিষয়টি নজরে আসতেই মহিলা কনস্টেবল অনুপ্রবেশকারীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করেন। কিন্তু, সতর্কতা সত্ত্বেও অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। এরপর বিএসএফ জওয়ান অনুপ্রবেশকারীদের দিকে ছুটে যায় এবং তাদের মৌখিক সতর্কবার্তা দেন। তারা জোর করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং মহিলা কনস্টেবলকে ঘিরে ফেলে। এরপর তারা মহিলা কনস্টেবলকে হামলা চালায়। ততক্ষণে, মহিলা কনস্টেবলের একজন সহকর্মীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তিনি অনুপ্রবেশকারীদের লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছোঁড়েন। এছাড়াও, অনুপ্রবেশকারীদের দিকে এক রাউন্ড গুলিও চালান। ঘটনায় অনুপ্রবেশকারীরা অন্ধকার ও জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়। তবে গুলিতে কোনও অনুপ্রবেশকারী আহত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত মুখপাত্র ডিআইজি এ কে আর্য জানিয়েছেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সম্প্রতি নদিয়ার সেক্টর হেডকোয়ার্টার, বামানাবাদ, রাজানগর এবং বহরমপুরের সীমান্ত এলাকায় গরু পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীরা জওয়ানদের উপর এই ধরনের আক্রমণ করেছে। জওয়ানদের আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে হয়েছে এবং অনুপ্রবেশ ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনায় চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ, অবৈধ মাদক পাচার, প্রাণী এবং অন্যান্য জিনিস পাচার বন্ধ করেছে বিএসএফ। গত ২৭ জুলাই একইভাবে অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে কল্যাণী সীমান্ত এলাকায় গুলি করতে বাধ্য হয়েছিল বিএসএফ।