• সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের জালে উঠল ১২টন ইলিশ, সপ্তাহান্তে সুলভে মিলবে বাজারে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ আগস্ট ২০২৪
  • বারবার মাঝ সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে গেলেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল মৎস্যজীবীদের। কারণ অন্যান্য মাছ মিললেও ইলিশ মাছ জালে ওঠেনি। কদিন আগে পর্যন্ত সেভাবে ঝাঁপিয়ে বর্ষা আসেনি। আজ, বৃহস্পতিবার সারা রাজ্যেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে বর্ষা। আর তখনই অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি একটা ঘটনা ঘটল। সেটি হল— সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের জালে ১২ টন ইলিশ উঠেছে। বহুদিন ধরে ইলিশ না পাওয়ার খরা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ইলিশ মাছের মুখ দেখলেন মৎস্যজীবীরা। ভরা শ্রাবণে গত দু’‌দিনে কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমার ঘাটে পৌঁছেছে প্রায় ১২টন টাটকা ইলিশ।

    এই রূপোলি ফসল দেদার জালে ধরা পড়ায় খুশি মৎস্যজীবীরা। এই ইলিশ মাছ এবার বাজারে আসবে। বেশি পরিমাণে ইলিশ মাছ জালে ধরা পড়ার জেরে দাম কমবে বাজারে এবং মিলবে সহজে। আগামী দু’‌দিন আরও ইলিশ ঢুকবে ঘাটগুলিতে বলে সূত্রের খবর। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় আসবে সুন্দরবনের ইলিশ। সমুদ্রে এখন ইলিশ ধরার অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আর তার পরই জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপোলি শস্য। ধরা পড়া এই ইলিশ মাছগুলির ওজনও বেশ ভাল। ইলিশ মাছগুলি এক কিলো ওজনের বলে জানা যাচ্ছে। আজ নামখানাতে দেড় কিলো ওজনের ইলিশও নিলাম হয়েছে। ইলিশের জোগান বাড়ায় দামও কমেছে।

    কিছুদিন আগে ইলিশ একেবারেই মিলছিল না। তার উপর যেটুকু ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছিল তা বাজারে চড়া দামে বিকোয়। গৃহস্থরা বাজারে গিয়ে ইলিশ মাছের দামে ছ্যাঁকা খান। কবে সস্তায় ইলিশ মাছ মিলবে সেই প্রহর গুণছিলেন। এবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সপ্তাহান্তে বাজারের ব্যাগে করে ইলিশ বাড়ি ঢুকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ডহারবারের মাছের আড়ত ঘুরে ইলিশ পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে। ইলিশ মেলায় খুশি ট্রলার মালিক, মৎস্যজীবী থেকে সাধারণ ক্রেতারা। চলতি বছরে ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছিল ইলিশ ধরার মরশুম। বৃষ্টির ঘাটতির জেরে সমুদ্রে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের।


    এছাড়া এখন ঝাঁপিয়ে বর্ষা আসতেই সুখবর ছড়িয়ে পড়েছে খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে। তাই এখন থেকে চেনা মাছওয়ালাকে ফোন করে ইলিশের দাম–দর করে মাছ নেবেন বলে রাখছেন গৃহস্থরা। যখন ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না তখন আবার ১৫ দিন ধরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছিল। সুতরাং সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এই নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর সমুদ্র পাড়ি দেন মৎস্যজীবীরা। বৃষ্টি শুরু হয় সাগরে। সঙ্গে বইছে পুবালী বাতাস। অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় জালে ধরা পড়তে শুরু করে ঝাঁকে ঝাকে ইলিশ। সেই ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)