• ‘আমাদের কলকাতাতে এটা হয় না!’ গ্রামের হাসপাতালে গিয়ে হতবাক রচনা, এত ভিড়!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ আগস্ট ২০২৪
  • কিছুদিন আগেই চুঁচুড়া হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সদ্য হুগলির সাংসদ হয়েছেন তিনি। এরপরই তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করছেন। আর পান্ডুয়া হাসপাতালে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি দেখেই কিছুটা হতবাক দিদি নম্বর ওয়ান খ্যাত রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একদিকে অভিনেত্রী আর অন্যদিকে তিনি সাংসদ। 

    হাসপাতালে গিয়েই তিনি বলেন, ‘ভালো আছেন সবাই। আপনাদের হাসপাতাল দেখতে এসেছি।’ তিনি এদিন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালে তাঁর ছবি মোবাইলবন্দি করার চেষ্টাও করেন অনেকে। 

    রচনা বলেন, ‘অ্যাসিড নেই। অ্যাসিড শেষ হয়ে গেছে। এটাও শুনতে হল। এতবড় হাসপাতাল. চারদিক নোংরা হয়ে রয়েছে। এখানে মানুষ সুস্থ হওয়ার জন্য আসেন। সেক্ষেত্রে এখানে তিনি অসুস্থ হয়ে যান এটা তো আমরা চাই না। সাধারণ মানুষ হিসাবে বলছি। পাঁচ বছর আছি। চেষ্টা করব। দিদির সঙ্গে কথা বলে কতটা কী করা যায়। এখন আমাদের পরিষ্কার রাখতে হবে। একজন পেসেন্টের জন্য ১০জন লোক থাকতে পারে না। আমাদের কলকাতাতে এটা অ্যালাও নয়। আমার বাবাকে  ভর্তি করতে গিয়ে আমায় নীচে বসে থাকতে হয়। আমার মা নীচে নামলে আমি উঠতে পারি। আমাদের সেই ফেসিলিটি যদি না থাকে তবে এখানে একজন রোগীর সঙ্গে দশজন কীভাবে ঢুকছেন। প্রত্যেক রোগীর জন্য় পাশ তৈরি করা হবে। একজন পেসেন্টের জন্য একজন যেতে পারবেন। যদি স্পেশাল ভাবে কাউকে যেতে হয় তবে স্পেশাল পাস ইস্যু করতে হবে। এত কোলাহল কেন? একজন পেসেন্ট রয়েছে তার সঙ্গে এত লোকজন। একমাস পরে আসব। ’

    ‘এত ভিড় করো না। আমাকে দেখার কোনও ব্যাপার নেই। এখানে কাজে এসেছি। ’

    পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসাপাতালে গিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূল নেতৃত্বও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। তবে গ্রামীণ হাসপাতালে স্বভাবতই নিয়মের কিছুটা শিথিলতা থাকে। তার উপর বর্ষার দিন। কাদায় কাদায় একেবারে যা-তা অবস্থা। এসব দেখে কার্যত আকাশ থেকে পড়লেন রচনা। সেই সঙ্গেই রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য একাধিক পরিজন ভিড় জমিয়েছিলেন হাসপাতালে। এটা দেখেই রচনা কলকাতার হাসপাতালের সঙ্গে তুলনা টানার চেষ্টা করেন। 

    পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষকে তিনি এদিন দায়িত্ব দিয়ে যান। তবে হাসপাতালের উন্নতিতে তৃণমূল নেতাকে আলাদা করে দায়িত্ব দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)