• হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়েই পদক্ষেপ, পূর্ব কলকাতা জলাভূমিতে ভাঙা হল বেআইনি নির্মাণ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ আগস্ট ২০২৪
  • শহরের কিডনি বলে পরিচিত পূর্ব কলকাতার জলাভূমি। এই জলাভূমি বাঁচাতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের পরিবেশ দফতর। কিন্তু, তারপরেও এই জলভূমি এলাকায় একের পর এক তৈরি হচ্ছে বেআইনি নির্মাণ। যার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এমন অবস্থায় পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে অবৈধ নির্মাণ কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান মুখে পড়েছে প্রশাসন। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে পূর্ব কলকাতা জলাভূমির উপর তৈরি হওয়া একটি বেআইনি বহুতল ভেঙে ফেলল প্রশাসন।


    জানা যাচ্ছে, বেআইনিভাবে কোনওরকম অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছে এই বহুতল। প্রসঙ্গত, এই এলাকায় বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে হাইকোর্টের নির্দেশে একটি বিশেষ কমিটি গঠন হয়েছে অনেক আগেই। তা সত্ত্বেও নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে এই বেআইনি বহুতল নির্মাণ হল তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কলকাতার মুকুন্দপুর লাগোয়া জগদীপোতায় জলাভূমি ভরাট করে তৈরি করা হয়েছিল এই বহুতলটি। আদালতের নির্দেশ নিয়ে বৃহস্পতিবার এই বহুতল ভাঙার কাজ শুরু করে সোনারপুর ব্লক প্রশাসন। সোনারপুর বিডিও এবং নরেন্দ্রপুর থানার আইসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতিতে এদিন বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করা হয় । উল্লেখ্য, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কঠোর মনোভাব দেখিয়েছিলেন। তারপরেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন।

    প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্তি জানা নামে একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে খেয়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিতা নস্কর জানান, এই এলাকায় যে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ হয়েছে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন তারা।

    মিতা নস্কর বলেন, ‘ যিনি ওই জায়গার মালিক তিনি হাইকোর্টে মামলা করে অভিযোগ করেছিলেন যে তার জায়গায় অবৈধভাবে কেউ বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে। হাইকোর্ট জেলা শাসককে বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে জেলা শাসকের তরফে আমাদেরকে বাড়িটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।  সেই নির্দেশ মেনেই বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে।’ তিনি জানান, আর কোথাও বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)